সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ‘হালাল’ বনাম ‘ঝটকা’ মাংসের দ্বন্দ্বে আবারও সরগরম নেটদুনিয়া। জোম্যাটোর পর এবার বিতর্কে নাম জড়াল ম্যাকডোনাল্ডসের৷ এক দশকেরও বেশি সময় ধরে খাদ্যের ধর্ম বিচার করে সমস্যায় পড়ল মার্কিন ফুড চেন। নেটিজেনদের সমালোচনার শিকার ম্যাকডোনাল্ডস৷
রেস্তরাঁর হালাল শংসাপত্র আছে? সম্প্রতি এক ব্যক্তি সোশ্যাল মিডিয়ায় ম্যাকডোনাল্ডসের উদ্দেশে এমনই প্রশ্ন করেন৷ জবাবও দেয় কর্তৃপক্ষ৷ ম্যাকডোনাল্ডসের তরফে জানানো হয়, ভারতে তাদের সব রেস্তরাঁতেই ‘হালাল’ শংসাপত্র রয়েছে। তাদের খাবারে যে মাংস ব্যবহার করা হয়, তা সবচেয়ে ভাল মানের বলেও দাবি করা হয়৷ মার্কিন ফুড চেনের তরফে দাবি করা হয়, সরকার অনুমোদিত জোগানদারদের থেকেই ম্যাকডোনাল্ডস মাংস নেয়।
[আরও পড়ুন: সোমবার পর্যন্ত চিদম্বরমকে গ্রেপ্তারি নয়, ইডির মামলায় নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের]
ম্যাকডোনাল্ডসের উত্তর ভাইরাল হতে বেশি সময় লাগেনি৷ মুহূর্তের মধ্যে বিদ্যুতের গতিতে তা ছড়িয়ে পড়ে৷ বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়ায় মার্কিন ফুড চেনকে নিয়ে চলছে জোর চর্চা৷ কড়া সমালোচনার মুখে পড়েছে ম্যাকডোনাল্ডস। খাদ্যের ধর্মবিচার করা নিয়ে যেমন সমালোচিত হয়েছে মার্কিন ফুড চেন, তেমনই আবার কেন ভারতে ‘হালাল’ মাংস পরিবেশন করা হবে সেই প্রশ্নও তোলা হয়েছে। অনেক হিন্দু ধর্মাবলম্বী সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, ‘ঝটকা’ ছাড়া অন্য কোনও প্রকার মাংস তাঁরা খাবেন না। কেউ কেউ তো আবার ম্যাকডোনাল্ডসের আমিষ খাদ্য বয়কটের পথেও হাঁটার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন৷ ইতিমধ্যেই সোশ্যাল মিডিয়ায় #BoycottMcDonalds ঝড় উঠেছে৷
মুসলমান যুবকের কাছ থেকে এক গ্রাহকের খাবার ডেলিভারি নিতে অস্বীকার করার ঘটনায় শিরোনামে চলে আসে জোম্যাটো৷ ‘খাবারের কোনও ধর্ম হয় না’ বলে পালটা জবাবও দিয়েছে খাবার সরবরাহকারী সংস্থা৷ কেন মাংসের পাশে ‘হালাল’ শব্দটি ব্যবহার করা হয়, কট্টর হিন্দুত্ববাদী নেটিজেনদের কাছ থেকে এই প্রশ্নও শুনতে হয়েছিল জোম্যাটোকে৷ সেই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই এবার বিতর্কে মার্কিন ফুড চেন ম্যাকডোনাল্ডস৷