সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আবিরের রঙে লাল হল গোটা বৃন্দাবন। ফুলের পাপড়ি ছড়িয়ে পড়ল কৃষ্ণধামের পবিত্র চত্বরে। ১৮ এপ্রিল থেকেই বৃন্দাবন, মথুরা সেজে উঠল হোলির সাজে।
হোলির রঙে রাঙতে প্রস্তুত গোটা দেশ। প্রতি বছর ফাল্গুন মাসের পূর্ণিমা তিথিতে হোলি উৎসব পালিত হয়। হোলি উৎসব ভারতের পাশাপাশি বিদেশেও উৎসাহের সঙ্গে পালিত হয়, তবে ব্রজের হোলির নিজস্ব জায়গা রয়েছে। মথুরা ও বৃন্দাবনে হোলির উৎসব দেখার মতো।
মথুরার বারসানায় শ্রীজি মন্দিরে ‘লাড্ডু হোলি’ প্রতিবছরই মহা আনন্দে ও আড়ম্বরে সহকারে পালিত হয়। এই মন্দিরের ‘পান্ডা’ হোলি খেলতে বারসানা থেকে নন্দগাঁও যান। পান্ডা যখন বারসানায় ফিরে আসে, তখন তাকে একটি সাধারণ স্বাগত জানানো হয় যেখানে তাকে লাড্ডু দিয়ে স্নান করা হয়।
[আরও পড়ুন: দোলের ছুটিতে ঘুরে আসুন ‘পিকক ভ্যালি’, কীভাবে যাবেন, থাকবেন কোথায়? রইল হদিশ]
১৮ মার্চ বারসানায় লাঠমার হোলি শুরু হয় এবং পরের দিন নন্দগাঁওয়ে লাঠমার হোলি খেলা হয়। এই হোলির খেলার এক বিশেষত্বও রয়েছে। এদিন ফুল দিয়েও রং খেলা হয় গোটা বৃন্দাবনে। ব্রজে হোলি খেলার সঙ্গে রাধা-কৃষ্ণের প্রেমের সম্পর্ক রয়েছে। এ উৎসবকে কেন্দ্র করে এক অন্যরকম উত্তেজনা ও উদ্দীপনা বিরাজ করে গোটা কৃষ্ণধামে।
কথিত রয়েছে, রাধারানির পিতা বৃষভানু জি শ্রী কৃষ্ণের পিতাকে নন্দগাঁওয়ে হোলি খেলার আমন্ত্রণ জানিয়ে ছিলেন। বরসানার গোপীরা হোলির আমন্ত্রণপত্র নিয়ে নন্দগাঁও যান। যা কৃষ্ণের বাবা নন্দবাবা সানন্দে মেনে নেন। আমন্ত্রণ গ্রহণের চিঠিটি একজন পুরোহিতের মাধ্যমে বারসানাকে পাঠানো হয়। লাড্ডু দিয়ে পুরোহিতের মুখ মিষ্টি করা হয়। তার থেকেই নাম পড়ে লাড্ডু হোলি।
পুরাণ মতে, দ্বাপর যুগে লাঠমার হোলি খেলার প্রথার উদ্ভব হয়েছিল, যখন নন্দগাঁওয়ে বসবাসকারী কৃষ্ণ তাঁর বন্ধুদের সঙ্গে রাধার গ্রাম বরসানায় যেতেন এবং গোপীদের হয়রানি করতেন। এই সময়ে, একবার রাধা রানি এবং গোপীরা, শ্রীকৃষ্ণ ও তার বন্ধুদের উপর বিরক্ত হয়ে লাঠি বর্ষণ করে। এই ঘটনার থেকেই এর উৎসবের নাম লাঠমার হোলি।