সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রী মোদির মহিমাবাচক ও গুণকীর্তন করা ছোট নাটক বাংলার সমস্ত থিয়েটার দলকে পাঠানো হয়েছে। আর তা মঞ্চস্থ করার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে। অন্যথায় কেন্দ্রের মোটা অনুদান বন্ধ করে দেওয়া হবে। এমনই অভিযোগ রাজ্যের মন্ত্রী তথা নাট্যকার ব্রাত্য বসুর (Bratya Basu)।
মঙ্গলবার ‘X’ হ্যান্ডেলে হিন্দি নাটকের কয়েকটি পাতা ও একটি বিবৃতি শেয়ার করেন ব্রাত্য বসু। বিবৃতিতে লেখা, “কেন্দ্রের বিজেপি সরকার, লোকসভা ভোটের আগে, পশ্চিমবঙ্গের সবকটি থিয়েটার দলকে এদেশের মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর মহিমাবাচক ও গুণকীর্তন করা একটি ছোট নাটিকা পাঠিয়ে বলেছেন, এর অভিনয় সর্বত্র করতে হবে। অস্যার্থে, অভিনয়টি না করলে কেন্দ্রের পাঠানো মোটা অনুদান ও ভর্তুকি বন্ধ করে দেওয়া হবে।”
[আরও পড়ুন: কেবল লিভ-ইন হলেই হিংসা প্রকাশ্য, আর বিয়ে হলেই গুস্তাখি মাফ!]
এর পরই আবার বিবৃতিতে লেখা হয়, “পশ্চিমবঙ্গের থিয়েটার দলগুলি যেহেতু মূলত বামপন্থী সেকুলার, তাই আমরা আশা রাখতেই পারি, এই নির্লজ্জ প্রস্তাব তাঁরা সবাই ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করবেন! নিচে মূল নাটকটি দেওয়া হল। ঠেলার নাম বাবাজি, কাকে বলে দ্যাখ এবার।” লেখার শেষে গোলাপ ফুল, হাসি ও ভালোবাসার ইমোজিও দেওয়া হয়েছে।
সামনেই লোকসভা ভোট। তার আঁচ ইতিমধ্যেই আন্দাজ করা যাচ্ছে। অভিযোগ-পালটা অভিযোগের পালা শুরু হয়ে গিয়েছে। কিন্তু ভোটের আগে এমন নির্দেশে স্তম্ভিত ব্রাত্য বসু। কারণ তিনি শুধু মন্ত্রী বা নেতা নন, একজন নাট্যকারও। সোশাল মিডিয়াতে পোস্ট করা প্রত্যেকটি শব্দে যেন শিল্পী তীব্র ধিক্কার জানিয়েছেন।
অবশ্য, এর আগে চাকদহ নাট্যজনের নাটক বাতিলের অভিযোগে রাজ্য সরকারের দিকেও আঙুল উঠেছিল। সরকারি কর্মচারীদের প্রাপ্য মহার্ঘ ভাতার দাবিতে আন্দোলনরত সংগ্রামী যৌথ মঞ্চর অবস্থানে ‘জগাখিচুড়ি’ নাটকটি পরিবেশন করেছিল চাকদহ নাট্যজন। অভিযোগ, এই নাটক করার অপরাধেই চাকদহ নাট্যজনের নাট্যোৎসবের বুকিং বাতিল করে কল্যাণী পুরসভা। উৎপল দত্ত রচিত, দেবেশ চট্টোপাধ্যায় নির্দেশিত এবং চাকদহ নাট্যজন প্রযোজিত ‘ব্যারিকেড’ নাটক বাতিল করার অভিযোগ ওঠে নবদ্বীপ পুরসভার বিরুদ্ধে।