সুব্রত বিশ্বাস: দুই হকার দলের সংঘর্ষে রীতিমতো রণক্ষেত্র চেহারা নিল ট্রেনের কামরা। আর তাঁদের বাধা দেওয়ায় পাথর ছুঁড়ে আক্রমণ করা হল যাত্রীদের উপর। পাথরের ঘায়ে গুরুতর আহত হন এক পরিযায়ী শ্রমিক।
শনিবার বিকেল পৌনে চারটে নাগাদ আন্দুল স্টেশনে এই ঘটনা। যাত্রীর রক্তাক্ত ছবির ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ায় তদন্ত শুরু করেছে রেল পুলিশ। ওই সূত্রে পুলিশ জানতে পেরেছে, অভিজিৎ ঘোষ ও স্বপন মিস্ত্রি নামে আলাদা সংগঠনের দুই হকার দল আপ কন্যাকুমারী এক্সপ্রেসে হকারি করছিল। খড়গপুর থেকে ঝামেলা শুরু হয়। আন্দুলে এক হকারকে অন্য দলের হকাররা ট্রেন থেকে ফেলে দেওয়ার চেষ্টা করলে কামরায় উপস্থিত পরিযায়ী শ্রমিকরা বাধা দেন।
[আরও পড়ুন: আইনি গেরোয় পিছিয়ে গেল কুস্তি ফেডারেশনের নির্বাচন, বিশ বাঁও জলে কুস্তিগিরদের ভবিষ্যৎ]
এরপরে ট্রেন থামলে কামরা লক্ষ্য করে পাথর ছোঁড়া হয়। আতঙ্কে যাত্রীরা জানলার কাচ ফেলে দেন। কিন্তু সেখানেও পাথর ছোঁড়ায় জানলার কাচ ভেঙে পাথর কামরার মধ্যে এসে পড়ে। আর তাতেই গুরুতর জখম হন এক যাত্রী। এরপরই শোরগোল শুরু হয়ে যায়। সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে সেই ভিডিও। রক্তাক্ত অবস্থায় দেখা যায় ওই যাত্রীকে। এই ভিডিও দেখেই তদন্তে নামে পুলিশ।
ট্রেনে হকারি বন্ধের জন্য রেল একাধিক পদক্ষেপের কথা ঘোষণা করেছিল। এরপরই যাত্রীদের সহানুভূতি, ও হকারদের কথা চিন্তা করে প্রতিবাদ শুরু হয়। তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠন প্রতিবাদ শুরু করে। উত্তর হাওড়ার তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠনের সভাপতি অরবিন্দ দাস হাওড়া স্টেশন এলাকায় হকারদের সঙ্গে বৈঠক করে যাত্রীদের সঙ্গে সহযোগিতা করে চলার জন্য তাঁদের নির্দেশ দেন। পাশাপাশি রেলকর্তাদের সঙ্গে বসে সুষ্ঠ পরিবেশ বজায় রাখার আবেদনও জানান। এদিনের ঘটনায় তিনি দুঃখ প্রকাশ করেছেন। এদিকে শিয়ালদহ স্টেশনের বৈধ স্টলে পচা খাবার বিক্রি করা নিয়ে প্রতিবাদ করেন যাত্রীরা। রেল তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছে।