সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ফের ধাক্কা খেলেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী টেরেসা মে। ব্রেক্সিট ইস্যুতে ব্রিটিশ পার্লামেন্টে সমর্থনই পেলেন না তিনি। বিশ্বের পঞ্চম বৃহত্তম অর্থনৈতিক পরিকাঠামো ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে ব্রিটেনের বেরিয়ে যাওয়া নিয়ে ধাক্কা খেল প্রধানমন্ত্রীর সওয়াল। গত ১০ তারিখ থেকে পাঁচদিন ধরে বিতর্ক চলছিল ব্রিটিশ পার্লামেন্টে। বিতর্কের শেষে কোনও চুক্তি ছাড়াই ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে বেরিয়ে যাওয়া নিয়ে যে সমস্ত এমপি-র আপত্তি ছিল, শেষপর্যন্ত তাঁরাই জিতলেন মঙ্গলবার। ব্রেক্সিট চুক্তি বাতিলের পক্ষে ভোট পড়ল ৪৩২। অন্যদিকে টেরেসার মতের সমর্থনে মিলল ২০২টি ভোট। ফলে ২৩০ ভোটে পরাস্ত হলেন প্রধানমন্ত্রী মে। বিরোধী লেবার পার্টির নেতা জেরেমি কর্বিন ইতিমধ্যেই সরকারের প্রতি অনাস্থা ভোটের প্রস্তাব পেশ করেছেন।
[সিরিয়া নিয়ে চড়ছে পারদ, তুরস্ককে ‘বিধ্বংসী’ প্রত্যাঘাতের হুমকি ট্রাম্পের]
প্রসঙ্গত, ২৯ মার্চ ব্রেক্সিটের জন্য দিন নির্ধারণ করা হয়েছে। আর মাস দুয়েকও বাকি নেই তার জন্য। এই অবস্থায় ব্রেক্সিটের পক্ষে সংখ্যা গরিষ্ঠতা নাকি বিপক্ষে, তা নিয়ে এদিন প্রথম থেকেই দ্বিধাবিভক্ত ছিল ব্রিটেনের পার্লামেন্ট। গত পাঁচদিনের বিতর্ক পর্বে এমপিদের নিজের পক্ষে টেনে আনার চেষ্টা করেছিলেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ও তাঁর পক্ষের এমপি-রা। কিন্তু চুক্তিতে অন্যতম বিরোধের জায়গা তৈরি হয়েছে নর্দার্ন আয়ারল্যান্ড নিয়ে। টেরেসা আশা করেছিলেন, নর্দার্ন আয়ারল্যান্ড নিয়ে তাঁর নয়া প্রস্তাব এমপি-দের মত পরিবর্তনে সাহায্য করবে। যার ফলে আসন্ন ভোটাভুটিতে তাঁর চুক্তির ব্যর্থতা আটকানো যাবে। কিন্তু পাঁচদিনের আলোচনা পর্ব যে কার্যত ভস্মে ঘি ঢালা হয়েছে তাই বোঝা গেল মঙ্গলবার।
ব্রেক্সিটের বিরোধীরা অবশ্য আশঙ্কা করছিলেন যে, এই প্রক্রিয়া সম্পন্ন হলে কার্যত স্তব্ধ হয়ে যাবে তাদের অর্থনৈতিক ব্যবস্থা। এমনকী ইইউ-এর অন্য দেশগুলির সঙ্গে তাদের বাণিজি্যক সম্পর্কও বড়রকমের ধাক্কা খাবে এর ফলে। গত ডিসেম্বেরই বিরোধীরা প্রধানমন্ত্রীর কাছে আরজি জানান ভোট পিছিয়ে দেওয়ার জন্য। কারণ তাঁরা আশা করেছিলেন ব্রাসেলসে এ বিষয়ে ঐকমত্য হবে। যদিও তেমন কোনও লক্ষণ মিলল না। উল্টোদিকে টেরেসা মে এমপি-দের সমর্থন পাচ্ছেন না এই তথ্য প্রকাশিত হওয়ায় ইউরোপীয় ইউনিয়নের অন্যান্য কর্তা নতুন করে আলোচনায় বসতে চাইছেন পরবর্তী পদক্ষেপ নির্ধারণ করার জন্য। স্ট্রসবার্গ থেকে জার্মানির বিদেশমন্ত্রী হেইকো মাস জানান এর ফলে পরবর্তী আলোচনার জন্য দরজাও খুলে যাচ্ছে।