সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দিল্লির আম আদমি পার্টির বিরুদ্ধে চাঞ্চল্যকর অভিযোগ এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের। বুধবার কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাটি দাবি করে, দিল্লি জল বোর্ডের দুর্নীতি থেকে বিপুল অঙ্কের টাকা যেত আপের নির্বাচনী তহবিলে।
আবগারি দুর্নীতি মামলায় দীর্ঘদিন ধরে ইডির র্যাডারে কেজরিওয়াল। এর আগে পাঁচবার দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীকে তলব করা হয়েছে। যদিও তাতে সাড়া দেননি কেজরিওয়াল। সেই সমনকে ‘বেআইনি’ বলে দাবি করে হাজিরা এড়িয়ে যান তিনি। আম আদমি পার্টি (Aam Aadmy Party) শুরু থেকেই দাবি করে আসছে, শুধুমাত্র কেজরিওয়ালকে গ্রেপ্তার করার উদ্দেশ্যেই বারবার তলব করা হচ্ছে। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগের কোনও ভিত্তি নেই। কেজরিওয়াল নিজে বলছেন, ইডি তাঁকে যে সমন পাঠাচ্ছে সেটার আইনি বৈধতা নেই। এই বেআইনি সমনে হাজিরা দেওয়ার কোনও প্রশ্নই ওঠে না। এবার সেই মামলা আদালত তাঁকে তলব করেছে। এই প্রেক্ষাপটে দিল্লি জল বোর্ড সংক্রান্ত দুর্নীতিতে ইডির দাবি ঘিরে বিস্তর জলঘোলা শুরু হয়েছে।
[আরও পড়ুন: এক দেশ, এক আইন! ইতিহাস গড়ে উত্তরাখণ্ডে পাশ অভিন্ন দেওয়ানি বিধি বিল]
এক বিবৃতিতে ইডি জানায়, দিল্লি জল বোর্ডের প্রাক্তন চিফ ইঞ্জিনিয়ার জগদীশ কুমার আরোরা জল বোর্ডের বরাত পাইয়ে দেওয়ার বিনিময়ে এন কে জি ইনফ্রাস্ট্রাকচার নামের সংস্থার কাছ থেকে বিপুল অঙ্কের ঘুষ নিয়েছেন। সেই টাকা বোর্ডের অন্যান্য সদস্য ও আপ নেতাদের কাছেও গিয়েছে। ইডির দাবি, গত মঙ্গলবার দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালের আপ্ত সহায়ক বৈভব কুমার এবং আপ সাংসদ এন ডি গুপ্তার বাড়িতে তল্লাশি চালানো হয়। সেখান থেকে দুর্নীতি ইস্যুতে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ নথিপত্র বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। যদিও দিল্লি সরকারের মন্ত্রী অতীশী মারলেনা সাংবাদিক বৈঠকে এই অভিযোগ খারিজ করেছেন। তাঁর দাবি, কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা বৈভব কুমারের বাড়িতে গিয়ে শুধুমাত্র বসেছিলেন। তাঁর পরিবারের সদস্যদের তিনটি মোবাইল ছাড়া আর কিছুই বাজেয়াপ্ত করা হয়নি।