সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বিয়ে হতে না হতে বিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত! আসলে বরের স্থান-কাল-পাত্র বোধ নেই, বলছেন কনে। এমনকী যুবকের চরিত্র নিয়েও সন্দিহান তিনি। কেন এমনটা বলছেন তরুণী? আসলে ভরা বিয়ের আসরে অতিথিদের সমানেই কনেকে চুমু খান বর মশাই। এতেই বেজায় ক্ষিপ্ত হন কনে। এমনকী থানায় অভিযোগ দায়ের করেন তিনি। পুলিশকে তরুণী জানিয়ে দিয়েছেন, এমন বরের সঙ্গে কোনও মতেই ঘর করতে চান না তিনি।
ঘটনটি উত্তরপ্রদেশের (Uttar Pradesh) সাম্ভালের। গত ২৬ নভেম্বরে বিয়ে হয় দম্পতির। গোলমাল বাধে ২৮ নভেম্বরে। পাভাসা গ্রামে ওইদিন ছিল বিয়ে পরবর্তী নাচ-গান খাওয়াদাওয়ার আয়োজন। সেই অনুষ্ঠানে বাড়ি ভরতি লোকের সামনে অতর্কিতে কনেকে চুমু খান বর। যা একেবারে পছন্দ হয়নি কনের। ওই মুহূর্তে প্রতিবাদ জানান তরুণী। অনুষ্ঠানস্থল ছেড়ে নিজের ঘরে চলে যান। বাড়ির লোকেরা পরিস্থিতি সামলানোর চেষ্টা করলেও কনের রাগ পড়েনি।
[আরও পড়ুন: ‘ধর্ষণের ফলে জন্মানো শিশু আজীবনের খারাপ স্মৃতি’, নাবালিকাকে গর্ভপাতের অনুমতি আদালতের]
এরপর থানায় গিয়ে বরের নামে অভিযোগ দায়ের করেন তরুণী। তিনি পুলিশকে জানিয়ে দেন, এই বরের সঙ্গে সংসার করতে চান না। বরের ওই আচরণের পর তাঁর চরিত্র নিয়ে সন্দিহান তিনি। এই সম্পর্কের ভাল হবে না বলেই ধারণা তাঁর। নতুন বরের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ আরজি জানান তরুণী। যদিও বর বাবাজি অন্য দাবি করেছেন। তিনি জানান, চুমুর ব্যাপারটা পূর্বপরিকল্পিত ছিল। সবটাই নাকি জানা ছিল কনের। পুলিশকে তিনি জানান, স্ত্রীর সঙ্গে তাঁর শর্ত হয়েছিল। “অতিথিদের সামনে যদি ওকে চুমু খেতে পারি, তবে ও আমায় দেড় হাজার টাকা দেবে। আমি যদি তা না পারি, তা হলে আমি ওকে ৩ হাজার টাকা দেব।”
[আরও পড়ুন: জিএসটি-তে অনীহা গুজরাটের ব্যবসায়ীদেরই, সমস্যায় ক্রেতা, বিক্রেতারা]
তরুণী অবশ্য এসব কথায় আমল দিতে নারাজ। বরের দাবি অস্বীকার করেছেন তিনি। এমনকী পুলিশের সামনে উভয়ের বচসা চরমে ওঠে বলেও জানা গিয়েছে। শেষ পর্যন্ত পুলিশের মধ্যস্থতায় উভয়ে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তাঁরা একসঙ্গে থাকবেন না।