সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দেখতে দেখতে কেটে গিয়েছে প্রায় দেড় বছর। এখনও ইউক্রেন দখল করতে পারেনি রাশিয়া (Russia)। লাগাতার চলছে লড়াই। এই পরিস্থিতিতে কিয়েভের পাশে সরাসরি দাঁড়াল ব্রিটেন। পাঠানো হচ্ছে দূরপাল্লার ক্রুজ মিসাইল। ফলে প্রশ্ন উঠছে এবার কি রাশিয়ার খাসতালুকে সামরিক ঘাঁটিগুলিকে নিশানা করবে জেলেনস্কি বাহিনী?
জানা গিয়েছে, ইউক্রেনকে বিশেষ ধরনের লং-রেঞ্জ স্টর্ম শ্যাডো মিসাইল দিচ্ছে ব্রিটেন। দূরপাল্লার এই ক্ষেপণাস্ত্রগুলি প্রায় ৩০০ কিলোমিটার পর্যন্ত আঘাত হানতে সক্ষম। গত বৃহস্পতিবার এই অস্ত্রের প্রথম দফা পাঠিয়েছে লন্ডন। এই প্রসঙ্গে পার্লামেন্টে ব্রিটিশ প্রতিরক্ষা সচিব বেন ওয়ালেস বলেন, “রাশিয়াকে এটা মানতেই হবে যে তাদের (আগ্রাসী) কার্যকলাপের জন্যই আজ (ইউক্রেনকে ) এই হাতিয়ার দেওয়া হচ্ছে।
বলে রাখা ভাল, গত ফেব্রুয়ারিতে ব্রিটেন (Britain) সফরে আসেন ইউক্রেনক প্রেসিডেন্ট ভলোদিনির জেলেনস্কি। তখন তাঁকে এই বিশেষ ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে সাহায্যের প্রতিশ্রুতি দেন ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক। সে মাসেরই পরের দিকে মিউনিখের নিরাপত্তা বৈঠকে সেই প্রসঙ্গ তোলেন সুনাক। তিনি বলেন ‘রাশিয়ার বোমা ও ইরানীয় ড্রোনের থেকে কিভের নিরাপত্তা প্রয়োজন।’ তার পরেই ক্ষেপণাস্ত্র পাঠানোর সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
[আরও পড়ুন: একধাক্কায় মানস সরোবর যাত্রার খরচ দ্বিগুণ করে দিল চিন! ক্ষুব্ধ ভারতীয় পর্যটকরা]
উল্লেখ্য, দীর্ঘদিন ধরেই আমেরিকা ও পশ্চিমের দেশগুলির কাছে দূরপাল্লার ক্রুজ মিসাইল পাঠানোর আকুতি করছে ইউক্রেন। কিন্তু তা দিতে সম্মত হয়নি আমেরিকা। ওয়াষিংটনের আশঙ্কা, দূরপাল্লা ক্ষেপণাস্ত্র হাতে পেলে রুশ ভূখণ্ডে হামলা চালাবে জেলেনস্কি বাহিনী। আর তেমনটা হলে পরিস্থিতি ক্রমে হাতের বাইরে চলে যাবে। প্রসঙ্গত, আগেই ইউক্রেনকে অত্যাধুনিক ‘হিমারস রকেট সিস্টেম’ দিয়েছে আমেরিকা (America)। কিন্তু সেটির পাল্লা ৫০ কিলোমিটার পর্যন্ত। কিয়েভের (Kiev)) একাধিক আবেদন সত্ত্বেও দূরপাল্লার ক্রুজ মিসাইল দিতে অস্বীকার করে বাইডেন প্রশাসন।