সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: খলিস্তানি বিতর্কে সংঘাতে জড়িয়েছে ভারত ও কানাডা। দুদেশের কূটনৈতিক চাপানউতোরের মধ্যে এবার ভারতের পাশে দাঁড়ালেন ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক। ভারত-ব্রিটেন মুক্ত বাণিজ্য নিয়ে আলোচনা আগামী দিনেও জারি রাখার আশ্বাস দিল ১০ ডাউনিং স্ট্রিট।
রয়টার্স সূত্রে জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার ভারত-কানাডা (Canada) খলিস্তানি বিতর্কে মুখ খুলেছে ব্রিটেন। এই বিষয়ে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাকের মুখপাত্র সংবাদমাধ্যমে জানিয়েছেন, “আগের মতোই মুক্ত বাণিজ্য নিয়ে ভারতের সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যাবে ব্রিটেন। কানাডার প্রশাসন নিজেদের মতো কাজ করুক। আমরা তাদের কাজে হস্তক্ষেপ করব না।” তিনি আরও বলেন, “গুরুতর এই অভিযোগ নিয়ে কানাডার সঙ্গে ব্রিটেনের যোগাযোগ হয়েছে। কিন্তু এর কোনও প্রভাব ভারতের সঙ্গে আলোচনায় পড়বে না।”
[আরও পড়ুন: একটি খুনেই ভারত-কানাডা সংঘাত! পর্দার আড়ালে চলছে কোন ভয়ানক খেলা?]
উল্লেখ্য, চলতি মাসেই ভারতে অনুষ্ঠিত জি-২০ সম্মেলনে যোগ দিতে নয়াদিল্লি এসেছিলেন সুনাক। সে সময়, মুক্ত বাণিজ্য নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে সুনাক বলেন, “মোদিজি এবং আমি দুজনেই চাই দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য চুক্তি সম্পাদিত হোক। এক্ষেত্রে খুবই ভাল কাজ হতে পারে বলেই আমরা মনে করি। তবে বাণিজ্য চুক্তি সময় সাপেক্ষ। এতে সময় লাগে। দুদেশের সহমত হওয়া প্রয়োজন। আমরা অনেক দূর এগিয়েছি। তবে এখনও অনেক কাজ বাকি।”
বলে রাখা ভালো, অভিবাসন নীতি, অ্যালকোহল ও মোটরগাড়ি। এই ত্র্যহস্পর্শে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (EU) থেকে বেরিয়ে আসা ব্রিটেনের সঙ্গে ভারতের ‘মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি’-র আলোচনা মাঝপথ পেরিয়েও থমকে গিয়েছিল। জট কিছুতেই খুলছিল না। জি-২০ আবহে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে সুনাকের বৈঠকের পর খুলে যায় সেই জট। জানা গিয়েছে, খুব শীঘ্রই দুদেশের মধ্যে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি (Free Trade Agreement) স্বাক্ষরিত হতে চলেছে।
প্রসঙ্গত, সোমবার নিজের দেশের সংসদে দাঁড়িয়ে প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো (Justin Trudeau) সাফ জানান, কানাডার নাগরিক খলিস্তানি নেতা হরদীপ সিং নিজ্জরের খুনের নেপথ্যে ভারতীয়দের (India) হাত থাকতে পারে বলেই সেদেশের তদন্তকারীদের অনুমান। এই দাবির পক্ষে প্রমাণ মিলেছে বলেও জানান কানাডার প্রধানমন্ত্রী। তার পরেই কানাডার বিদেশমন্ত্রী জানিয়ে দেন, কানাডায় নিযুক্ত ভারতীয় কূটনীতিকদের মধ্যে অন্যতম প্রধান এক আধিকারিককে বহিষ্কার করা হয়েছে। কানাডার এহেন অভিযোগের পালটা জবাব দিয়ে কানাডার এক কূটনীতিককে পাঁচদিনের মধ্যে দেশে ফিরতে নির্দেশ দিয়েছে বিদেশ মন্ত্রক। এরপর থেকেই দুদেশের সম্পর্কে বরফ জমতে শুরু করেছে।