সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ভোট দিতে পারলেন না মুখ্যমন্ত্রীর ভাই বাবুন বন্দ্যোপাধ্যায়। ভোটার তালিকা থেকে বাদ পড়েছে তাঁর নাম। স্বাভাবিকভাবেই এই ঘটনায় হতাশ তিনি। ঘটনাটি নিয়ে রাজ্যের শাসকদল কমিশনের কোর্টে বল ঠেলেছে।
মধ্য হাওড়ার ৩৭ নম্বর ওয়ার্ডের ভোটার বাবুন বন্দ্যোপাধ্যায়। সোমবার ভোট ছিল হাওড়ায়। সেই মতো এদিন নিজের গণতান্ত্রিক অধিকার প্রয়োগ করতে গিয়েছিলেন তিনি। গিয়ে কার্যত হতাশ হতে হয় তাঁকে। দেখা যায় ভোটার তালিকায় তাঁর নাম নেই। কাটা গিয়েছে নাম। এর পরই হতাশা উগড়ে দেন তিনি। এ প্রসঙ্গে তৃণমূলের মুখপাত্র শান্তনু সেন বলছেন, "পুরো বিষয়টি দেখে জাতীয় নির্বাচন কমিশন। কেন এমনটা ঘটল, তা তারাই বলতে পারবে।"
[আরও পড়ুন: ‘১৩ বছর আগে মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে প্রথম শপথ’, পুরনো কথা স্মরণ মমতার]
ভরা ব্রিগেডের মঞ্চ থেকে ৪২ আসনে প্রার্থী ঘোষণা করেছিল তৃণমূল। হাওড়া লোকসভা কেন্দ্র থেকে প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়কে টিকিট দেওয়া হয়েছে। তাতেই ‘ক্ষুব্ধ’ ছিলেন বাবুন। তাঁকে লোকসভা ভোটে টিকিট দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল বলেই দাবি করেছিলেন তিনি। সেই সময় বাবুন হাওড়ার ভোটার হয়েছিলেন। সেই আশ্বাস বাস্তবায়িত না হওয়ায় প্রয়োজনে নির্দল প্রার্থী হিসাবে লড়তে পারেন বলেও গুঞ্জন ছড়িয়েছিল। এই বিতর্কের মধ্যে দিল্লিও উড়ে যান তিনি। বিজেপির সঙ্গেও যোগাযোগ করছেন বলে খবর ছড়ায়। এর পরই বাবুনকে 'তাজ্য' করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
বলেছিলেন, "আমি সরাসরি বলছি বড় হলে অনেকের লোভ বেশি বেড়ে যায়। আমার পরিবারের ও কোনও সদস্য বলে মনে করি না। আজ থেকে কোনও সম্পর্ক নেই। ভাই বলে কেউ পরিচয় দেবেন না। কোনও সম্পর্ক নেই। পরিবারের সঙ্গে জড়াবেন না। দল যাঁকে প্রার্থী করেছেন, সেই প্রার্থী।” পরে অবশ্য পুরো বিষয়টির জন্য ক্ষমা চেয়ে নিয়েছিলেন বাবুন বন্দ্যোপাধ্যায়। এবার তিনি ভোটই দিতে পারলেন না।