বিশেষ সংবাদদাতা, নয়াদিল্লি: তৃণমূলের (TMC) দুয়ারে মোদি! প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi) না হলেও তাঁর ভাই প্রহ্লাদ মোদি (Prahlad Modi) তৃণমূল কংগ্রেসের কাছে সমস্যার সমাধান খুঁজতে হাজির হয়েছিলেন। বুধবার তিনি সদলবলে দিল্লিতে (Delhi) দেখা করেছেন তৃণমূল কংগ্রেসের লোকসভার দলনেতা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Sudip Bandyopadhyay) সঙ্গে।
এদিন সকাল দশটা নাগাদ মোদি রেশন ডিলারদের সংগঠন ‘অল ইন্ডিয়া ফেয়ার প্রাইস শপ ডিলার্স অ্যাসোসিয়েশন’-এর সহ-সভাপতি হিসাবে সুদীপবাবুর নর্থ অ্যাভিনিউয়ের ডুপ্লেক্স বাংলোতে দেখা করতে এসেছিলেন। সুদীপ সংসদের খাদ্য ও উপভোক্তা বিষয়ক সংসদীয় স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান। সেই সুবাদে তাঁর কাছে নিজেদের সংগঠনের বেশ কিছু দাবিদাওয়ার কথা তুলে ধরেন মোদি এবং এ বিষয়ে সুদীপের কাছে সহযোগিতাও চান। জানা গিয়েছে, মোদিকে নিরাশ করেনি সুদীপ। রেশন ডিলারদের দাবির কথা তিনি সংসদের অন্দরে তুলে ধরার পাশাপাশি খুব শীঘ্রই যাতে তাঁরা সংসদীয় কমিটির সামনে তাঁদের বক্তব্য পেশ করতে পারেন সেই সুযোগ করে দেওয়ার চেষ্টা করবেন বলে মোদিকে আশ্বাস দিয়েছেন।
[আরও পড়ুন: ন্যাশনাল হেরাল্ড: ইয়ং ইন্ডিয়ার অফিস সিল ইডির, কংগ্রেস দপ্তর ও সোনিয়ার বাড়ির সামনে পুলিশ]
সুদীপের সঙ্গে মোদির দেখা করতে যাওয়া তাৎপর্যপূর্ণ। সদ্য মঙ্গলবারই দিল্লির যন্তর-মন্তরে ধরনায় বসে কেন্দ্র সরকারের বিরুদ্ধে রেশন ডিলারদের বঞ্চনার অভিযোগ করেন প্রহ্লাদ মোদি। তার পরদিনই নিজেদের সমস্যা সমাধানে তৃণমূলের দুয়ারে হাজির হয়ে প্রধানমন্ত্রীর ভাই কেন্দ্র সরকারকে বার্তা দিয়েছেন বলেই মনে করা হচ্ছে। মুখে অবশ্য প্রহ্লাদ সবসময়েই বলে থাকেন যে তিনি তাঁর ভাইয়ের বিরুদ্ধে নন, তাঁদের প্রতি কেন্দ্রীয় সরকারের বৈষম্যমূলক আচরণের বিরুদ্ধেই তাঁদের আন্দোলন।
[আরও পড়ুন: ন্যাটোয় সুইডেন ও ফিনল্যান্ড, রাশিয়ার হুমকি উড়িয়ে সবুজ সংকেত মার্কিন সেনেটের]
এদিন সুদীপের হাতে তাঁদের সংগঠনের ১১ দফা দাবি সম্বলিত স্মারকলিপিও তুলে দিয়েছেন মোদি। তাঁর সঙ্গে সংগঠনের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক বিশ্বম্ভর বসুও ছিলেন। জানা গিয়েছে, নিজেদের দাবিদাওয়া নিয়ে খুব শীঘ্রই কেন্দ্রীয় খাদ্য, গণবণ্টন ও উপভোক্তা বিষয়ক দফতরের মন্ত্রী পীযূষ গোয়েলের সঙ্গে বৈঠক করতে পারেন সংগঠনের নেতারা। তাঁদের সংগঠনের মুখ্য পরামর্শদাতা এবং তৃণমূল কংগ্রেসের লোকসভার বর্ষীয়ান সাংসদ সৌগত রায়ের উদ্যোগেই এই বৈঠক হতে পারে বলে জানা গিয়েছে।