নন্দিতা রায়, নয়াদিল্লি: দাবি মহিলা সংরক্ষণ আইন কার্যকর করা। মঞ্চের আহ্বায়ক তেলেঙ্গানার শাসকদল ভারত রাষ্ট্র সমিতি। আর সেই মঞ্চকে সামনে রেখে আরও একবার নিজেদের ঐক্য প্রমাণ করে দিল সম্মিলিত বিরোধী শিবির। বিআরএস নেত্রী কে কবিতার ডাকা ধরনা মঞ্চে হাজির ১২টি বিরোধী দল। অথচ বিরোধীদের এ হেন শক্তি প্রদর্শনের মঞ্চে গরহাজির থাকল কংগ্রেস। ছিল না তৃণমূলও।
এখনও পর্যন্ত যা জানা গিয়েছে, মোট ১০টি সমমনস্ক বিরোধী দল। তৃণমূলের তরফে রাজ্যসভার মহিলা সাংসদ সুস্মিতা দেবের যাওয়ার কথা থাকলেও শেষমেশ তিনি যাননি। আম আদমি পার্টির সঞ্জয় সিং, নির্দল সাংসদ কপিল সিব্বল, সিপিএমের সীতারাম ইয়েচুরি-সহ জাতীয় রাজনীতিতে পরিচিত বেশ কিছু মুখ আজ দিল্লির প্রতীকী অনশনে শামিল হয়েছেন। এছাড়াও রয়েছেন শিব সেনা (উদ্ধব শিবির), অকালি দল, পিডিপি, ন্যাশনাল কনফারেন্স, জেডিইউ, এনসিপি, সমাজবাদী পার্টি, সিপিআই, এবং বিআরএসের নেতারা থাকছেন ধরনা মঞ্চে।
[আরও পড়ুন: ডিএ ধর্মঘট রুখতে আরও কড়া নবান্ন, চার বেলা হাজিরা খাতায় সইয়ের নির্দেশ]
বিআরএস নেত্রী কবিতা বলছেন, সরকারি ক্ষেত্রে মহিলাদের ৩৩ শতাংশ সংরক্ষণের পাশাপাশি সংসদেও মেয়েদের জন্য ৩৩ শতাংশ আসন সংরক্ষণ করতে হবে। আগামী দিনে রাজনীতিতে পরিবর্তন আনতে হলে রাজনীতিতে মেয়েদের সংখ্যা বাড়াতেই হবে। কেন্দ্র আইন কার্যকর না করলে আগামী দিনে দেশজুড়ে আন্দোলন হবে।
[আরও পড়ুন: কংগ্রেস আমলে বিদ্যুৎ ছিল না, তাই জনসংখ্যা বেড়েছে! কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর মন্তব্যে হাসাহাসি]
আসলে মহিলা সংরক্ষণ আইনকে ইস্যু করলেও শুক্রবারের বিরোধীদের জমায়েয়ের মূল উদ্দেশ্য অন্য। সেটা হল সব বিরোধীকে একত্রিত করে শক্তি এবং ঐক্য প্রদর্শন করা। এ হেন মঞ্চে কংগ্রেসের অনুপস্থিতি বেশ তাৎপর্যপূর্ণ। কংগ্রেসকে বাদ দিয়েও যে দিল্লির বুকে বিরোধীদের একত্রিত করা সম্ভব, সেটা একপ্রকার দেখিয়ে দিল এদিনের ধরনা মঞ্চ। সেই সঙ্গে বিজেপি বিরোধী পরিসরে কংগ্রেসের গুরুত্ব সম্ভবত আরও খানিকটা কমল বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।