রাজা দাস, বালুরঘাট: রাতে কুয়াশাকে কাজে লাগিয়ে সীমান্তে ফের সক্রিয় গরু পাচার চক্র (Cattle smuggling)। পাচারকারীদের রুখতে গুলি চালাল বিএসএফ। বৃহস্পতিবার গভীর রাতে এই ঘটনা ঘটে দক্ষিণ দিনাজপুর (South Dinajpur) জেলার হিলিতে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের চকগোপাল এবং সিদাই এলাকায়। পায়ে গুলি লাগা অবস্থায় একটি গরু (Cow)উদ্ধার হলেও, পাচারকারী পালিয়ে গিয়েছে বলে সূত্রের খবর।
দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার তিনদিক ঘেরা রয়েছে ভারত-বাংলাদেশ (India-Bangladesh Border) সীমান্ত। এই জেলার ২৫২ কিলোমিটার সীমান্তর মধ্যে অন্তত ৪০ কিলোমিটার কাঁটাতার বিহীন। জেলার হিলি ব্লকের মধ্যে থাকা উজাল, হাঁড়িপুকুর, তেলিয়াপাড়া, গোবিন্দপুর, সিদাই, চকগোপাল-সহ বিভিন্ন উন্মুক্ত এই সীমান্ত এলাকা দিয়েই চলে গরু পাচার। এতে সীমান্তবর্তী এলাকার চাষিদের জমির ফসলেরও ব্যাপক ক্ষতি হয়। এই পাচারে বাধা দিয়ে দু দেশের যৌথ পাচারকারীদের হাতে বেশ কয়েকবার বিএসএফ (BSF) জওয়ানদের আক্রান্ত হতে হয়েছে।
[আরও পড়ুন: বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কে টানাপোড়েনের জের! প্রেমিকাকে লক্ষ্য করে গুলি তৃণমূল কর্মীর]
পাচারকারীদের আক্রমণে বিএসএফ জওয়ানদের মৃত্যুর ঘটনাও সামনে এসেছে এর আগে। সূত্রের খবর, সীমান্তরক্ষীদের কড়া পদক্ষেপে অন্য সময় নিয়ন্ত্রণে থাকে গরু পাচার। কিন্তু শীত পড়তেই ধীরে ধীরে পাচারকারীদের সক্রিয়তা চোখে পড়ছে। ১৩৭ ব্যাটেলিয়ানের তরফে জানানো হয়েছে, শীতের ঘন কুয়াশার সুযোগ নেয় গরু পাচারকারীরা। কারণ, এই সময় ফাঁকা সীমান্ত এলাকায় ৫ ফুট দূরের কোনও কিছুই স্পষ্ট বা দৃশ্যমান থাকে না। স্বাভাবিকভাবেই টহলদারি বা প্রহরারত বিএসএফের নজর এড়িয়ে যাওয়া সহজ হয়।
[আরও পড়ুন: ধর্ষণে অভিযুক্তের স্ত্রী-ই মামলার সাক্ষী! ‘তদন্তের নামে প্রতারণা’, পুলিশকে ভর্ৎসনা হাই কোর্টের]
এমনকী তারা হাতে দা, লোহার রড, ধারালো অস্ত্রসস্ত্র নিয়ে থাকে। তবে বিএসএফ এ ব্যাপারে অতি সক্রিয়তার সঙ্গে প্রতিরোধ গড়ে তোলে। বাধাপ্রাপ্ত হলেই পাচারকারীদের আক্রমণাত্মক হতে দেখা যায়। এতে বেশ কয়েকবার আক্রান্ত হয়েছে বিএসএফ। আত্মরক্ষায় পালটা গুলিও চালাতে হয় জওয়ানদের।