shono
Advertisement

Breaking News

সোনিয়া বিদেশি বলেই প্রধানমন্ত্রী হওয়ার যোগ্য নন রাহুল, তোপ বিএসপি-র

জোটের ঘরে ফাটল!
Posted: 10:49 AM Jul 17, 2018Updated: 11:19 AM Jul 17, 2018

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কর্ণাটকে কুমারস্বামীর মুখ্যমন্ত্রিত্ব গ্রহণের পর মঞ্চে তাঁদের বন্ধুত্বের সাক্ষী ছিল গোটা দেশ। কিন্তু মাস ঘুরতে না ঘুরতেই সেই বন্ধুত্বে সম্ভবত ফাটল ধরতে চলেছে। কথা হচ্ছে বহুজন সমাজ পার্টির সুপ্রিমো মায়াবতী ও কংগ্রেসের চেয়ারপার্সন সোনিয়া গান্ধিকে নিয়ে। কারণ, মায়াবতী এবার এমন একটি কথা বলেছেন, তাতে কংগ্রেস শিবিরে তাঁর বিরুদ্ধাচরণ হওয়া কিছু অসম্ভব নয়।

Advertisement

২০১৯ সালে লোকসভা নির্বাচনে প্রধানমন্ত্রীর কুরসির জন্য কোমর বেঁধে নেমেছে কংগ্রেস। প্রধানমন্ত্রীর জন্য রাহুল গান্ধীকেই মনোনীত করেছে দল। কিন্তু সোমবার বিএসপি প্রেসিডেন্ট মায়াবতী জানিয়েছেন, রাহুল গান্ধী প্রধানমন্ত্রীর পদে বসে পারেন না। কারণ তাঁর মা বিদেশি। তাই প্রধানমন্ত্রীর পদের জন্য তিনিই উপযুক্ত প্রার্থী। বিএসপির জাতীয় মুখপাত্র বীর সিং ও জয় প্রকাশ জানিয়েছেন, মায়াবতী যদি দেশের প্রধানমন্ত্রী হতে চান, তবে এটি সবচেয়ে উপযুক্ত সময়। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির পর তিনিই দেশের দায়িত্ব নিতে পারেন বলে মন্তব্য করেছেন তাঁরা।

[ ফের দিল্লি, এবার মাদকাসক্তের যৌন লালসার শিকার ফুটপাতবাসী নাবালিকা ]

জয় প্রকাশ সিং বলেছেন, এইচ ডি কুমারস্বামীকে কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রীর পদে বসানোর পিছনে উল্লখযোগ্য ভূমিকা রয়েছে মায়াবতীর। আর এরপর থেকে রাজনীতিতে তাঁর ক্ষমতা অনেকটাই বৃদ্ধি পেয়েছে। নরেন্দ্র মোদি ও অমিত শাহকে টক্কর দেওয়ার জন্য মায়াবতীই একমেবদ্বিতীয়ম প্রার্থী। তিনি শুধু দলিতদের নেত্রী নন। বরং তাঁকে সব দলই সমর্থন করে। সময় এসে গিয়েছে। এবার তাঁকে প্রধানমন্ত্রীর প্রার্থী হিসেবে ২০১৯ সালে লোকসভা নির্বাচনে দাঁড় করানোর সময় এসে গিয়েছে বলে জানান তিনি।

এরপরই রাহুল গান্ধীকে নিয়ে কটাক্ষ করেন তিনি। বলেন, “রাহুলকে তাঁর বাবার থেকে মায়ের মতো বেশ দেখতে। আর তাঁর মা একজন বিদেশি। তাই রাহুল কখনও প্রধানমন্ত্রী হতে পারেন না।” তবে এই কথার জবাবে কংগ্রেস এখনও কোন মন্তব্য করতে অস্বীকার করেছে।

[ শিশুবিক্রির অভিযোগে পদক্ষেপ, মাদার টেরিজার সমস্ত হোমে তদন্তের নির্দেশ ]

সিং জানিয়েছেন, কংগ্রেস প্রেসিডেন্টের থেকে বিএসপি প্রধানের পরিচিতি বেশি। মায়াবতী তৃণমূল স্তরের নেত্রী। তিনি চারবার উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব সামলেছেন। কুমারস্বামীর শপথগ্রহণের সময় মোদিবিরোধী দলগুলিকে এক করতে তিনি মুখ্য ভূমিকা প্রধান করেছিলেন।

বিএসপি নেতার এই কথার উত্তর কংগ্রেস শিবির থেকে আসেনি। কিন্তু রাজ্যসভার বিজেপি সাংসদ অনিল বালুনি বলেছেন, যে কেউ প্রধানমন্ত্রী হওয়ার স্বপ্ন দেখতে পারেন। কিন্তু তাঁরা লোকসভায় একটিও আসন পাবে না। ৪৪টি আসন পাওয়ার পর রাহুল গান্ধী প্রধানমন্ত্রী হওয়ার স্বপ্ন দেখেন। আর মায়াবতীর মতো একজন নেত্রী, যিনি কিনা একটিও আসন পাননি, তিনিই বা কী করে প্রধানমন্ত্রী হওয়ার স্বপ্ন দেখেন?

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement