সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ২০২০ কেন্দ্রীয় বাজেটে বাড়তি গুরুত্ব পেল না রেল। কার্যত কোনও বড় ঘোষণাই নেই রেলের ক্ষেত্রে। নতুন রেললাইন তৈরিরও কোনও স্পষ্ট উল্লেখ নেই। তুলনায় সড়ক ও আকাশপথের বাড়তি গুরুত্ব দিচ্ছে সরকার।
রেলের ক্ষেত্রে অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণের ঘোষণা, খরচ কমাতে নবীকরণযোগ্য ও সৌরশক্তি ব্যবহারের দিকে জোর দেবে রেল। রেলের জমিতেই লাইনের পাশেপাশে বসানো হবে সৌরবিদ্যুৎ প্যানেল। জ্বালানি বাঁচাতে সৌরবিদ্যুতে জোর দেবে মন্ত্রক। তাছাড়া, ২৭ হাজার কিলোমিটার রেলপথ নতুন করে বৈদ্যুতিকরণ করা হবে। পিপিপি মডেলে ১৫০টি নতুন ট্রেন তৈরির প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে বাজেটে। অর্থাৎ, এই ১৫০টি রেলের খরচ কেন্দ্র-রাজ্য এবং তৃতীয় কোনও সংস্থার মাধ্যমে বহন করা হবে।যা রেলে বেসরকারি বিনিয়োগের রাস্তা খুলে দিল। রেলের ইতিহাসে এই ঘটনা প্রথমবার হচ্ছে। রেলের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ঘোষণার মধ্যে একটি হলে কিষাণ রেলের ঘোষণা। যা কিনা শুধুমাত্র কৃষকদের পচনশীল পণ্য পরিবহণ করবে।
রেলের ক্ষেত্রেও পরিকাঠামো খাতেই বেশি জোর সরকারের। রেল স্টেশনগুলির উন্নতির জন্য ৪টি নতুন প্রকল্প আনছে মোদি সরকার। হাই-স্পিড মুম্বই আমেদাবাদ এক্সপ্রেস ট্রেন প্রাথমিক গুরুত্ব পাবে। তেজসের মতো ট্রেনের সংখ্যা আরও বাড়ানো হবে। এটিও হবে পিপিপি মডেলে। অর্থাৎ, কেন্দ্র সরকার রেলের খরচের ক্ষেত্রে বিনিয়োগ আরও বাড়াতে চাইছে। এছাড়াও বাজেটের ঘোষণা অনুযায়ী আগামী ১ বছরে ৯ হাজার কিলোমিটার ইকনোমিক করিডর তৈরি করা হবে।
[আরও পড়ুন: GST’র হার কমায় আয়ের ৪ শতাংশ সঞ্চয়ে সক্ষম গৃহস্থ, দাবি নির্মলার ]
রেলের ক্ষেত্রে তেমন বড় কোনও ঘোষণা করা না হলেও, আকাশপথে চমক এনেছেন নির্মলা। অর্থমন্ত্রীর ঘোষণা, ২০২৪ সালের মধ্যে দেশের আরও ১০০ টি বিমানবন্দর তৈরি করা হবে। স্থলপথ পরিবরণের ক্ষেত্রে ১.৭ লক্ষ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হচ্ছে। দিল্লি মুম্বই হাইওয়ের মতো চারটি মেগা বাজেট প্রকল্প ২০২৩ সালের মধ্যে শেষ হবে। ২৫ হাজার কিলোমিটার নতুন নতুন সড়কপথ তৈরি হবে। স্থলপথের থেকে জলপথেও বাড়তি গুরুত্ব দেওয়া হবে। বন্দরগুলির বেসরকারিকরণের উদ্যোগ দেওয়া হবে, যাতে বিনিয়োগ বাড়ানো যায়। ২০০০ কিলোমিটার উপকূল সড়ক নির্মাণ করা হবে জলপথ পরিবরণের সুবিধার্থেই। এই রাস্তাগুলি কানেক্টিং লিংক হিসেবে ব্যবহৃত হবে।
The post বাজেট ২০২০: রেলে নেই বড় চমক, আকাশ ও সড়কপথে জোর নির্মলার appeared first on Sangbad Pratidin.