সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: রামমন্দির বিতর্ক স্তিমিত হতেই সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন (CAA) ঘিরে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক বিতণ্ডা। সোমবার কেন্দ্রীয় জাহাজ মন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রী শান্তনু ঠাকুর (Shantanu Thakur) দাবি করেন, আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে দেশে সিএএ কার্যকর হতে চলেছে। এরই মধ্যেই স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক সূত্রের খবর, আসন্ন অন্তর্বর্তী বাজেট অধিবেশনেই বিতর্কিত আইনের ধারায় সংসদীয় সিলমোহর পড়তে চলেছে। ইতিমধ্যে এই বিষয় তৎপরতা শুরু করেছে কেন্দ্র। এর পর দ্রুত ‘গেজেট নোটিফিকেশন’ জারি করবে সরকার। যাতে করে কার্যক্ষেত্রে আইন লাগু করা সম্ভব হয়।
উল্লেখ্য, নির্বাচনী বিধি লাগু হলে বাজেট অধিবেশনে সিএএ ধারা পাশের পরিকল্পনা ভেস্তে যাবে। সেই কারণেই অন্তর্বর্তী বাজেট অধিবেশনের মধ্যে সিএএ আইনের ধারাগুলি প্রয়োজনীয় সংসদীয় ছাড়পত্র পেতে চাইছে কেন্দ্র। আগামী ৯ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত চলবে অন্তর্বর্তী বাজেট অধিবেশন। তার মধ্যেই সেই কাজ সম্পূর্ণ হবে বলে মনে করা হচ্ছে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের সূত্রে জানা গিয়েছে, রাজ্যের ভূমিকা ন্যূনতম করতে অনলাইনে আবেদন করা ও সেই আবেদনের ভিত্তিতে নাগরিকত্ব দেওয়া হবে। পশ্চিমবঙ্গ-সহ একাধিক রাজ্যের বিরোধিতার কথা মাথায় রেখেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যে নাগরিকত্ব দানের লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় ওয়েবসাইটও তৈরি হয়ে গিয়েছে। যেখানে কেন্দ্রের অনুমোদনই শেষ কথা।
[আরও পডুন: আরএসএস নেতা খুনে পপুলার ফ্রন্টের ১৫ সদস্যকে মৃত্যুদণ্ড দিল কেরলের আদালত]
প্রসঙ্গত, সিএএ নিয়ে শান্তনু ঠাকুরের দাবির পাশাপাশি পশ্চিমবঙ্গে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীও সরব হয়েছেন। তিনি দাবি করেছেন, “ফেব্রুয়ারির শেষের দিকে সিএএ চালু হয়ে যাবে।” অন্যদিকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, “সিএএ নিয়ে যা হচ্ছে, তা ভোটের রাজনীতি। যাঁরা রেশন পান কিংবা ভোট দেন— তাঁরা সকলেই এ দেশের নাগরিক। তাঁদের আলাদা করে সিএএ-র মাধ্যমে নাগরিকত্ব পাওয়ার প্রয়োজন নেই।”