নন্দন দত্ত, সিউড়ি: সাতসকালে শতাব্দীপ্রাচীন বাড়ির চাঙড় ভেঙে জখম অষ্টম শ্রেণির এক ছাত্রী। বর্তমানে বর্ধমান হাসপাতালে চিকিৎসাধীন সে। ঘটনায় ক্ষোভে ফেটে পড়েছেন স্থানীয়রা। অবিলম্বে বাড়িটি ভেঙে ফেলার আশ্বাস দিয়েছেন বীরভূমের (Birbhum) সিউড়ি পুরসভার প্রশাসক।
জানা গিয়েছে, সিউড়ির বারুইপাড়ার বাসিন্দা ওই কিশোরীর নাম দিশা ধীবর। সোমবার সকালে ভাইকে সঙ্গে নিয়ে রান্নার গ্যাস ভরতে চিত্তরঞ্জন দাস এলাকায় শতাব্দীপ্রাচীন ওই বাড়ির নিকটবর্তী একটি দোকানে গিয়েছিল সে। গ্যাস ভরার সময় আচমকা ভেঙে পড়ে বাড়িটির একটি চাঙড়। চাপা পড়ে যায় কিশোরী। তড়িঘড়ি স্থানীয়রা তাঁকে উদ্ধার করে নিয়ে যায় স্থানীয়রা নিয়ে এলাকার একটি হাসপাতালে। অবস্থার অবনতি হওয়ায় সেখান থেকে তাঁকে পাঠিয়ে দেওয়া হয় বর্ধমান হাসপাতালে। সেখানে কার্যত মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছে দিশা।
[আরও পড়ুন: ‘সম্মানহানি করে রাজনীতি হয় না, তৃণমূলের হয়ে ভোটে দাঁড়াব না’, দলের প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ শীলভদ্রের]
এই ঘটনায় ক্ষুব্ধ স্থানীয়রা। তাঁদের কথায়, “আমরা বহুবার বাড়িটি মেরামত না হয় ভেঙে ফেলার কথা বলেছিলাম। আমরা আশঙ্কা করেছিলাম এরকম কিছু হবে। কিন্তু আইনি জটিলতার কারণে কোনওদিন মেরামত হয়নি শতাব্দীপ্রাচীন এই বাড়ি। ফলে যা হওয়ার তাই হল।” এবিষয়ে সিউড়ি পুরসভার প্রশাসক উজ্জ্বল চট্টোপাধ্যায় বলন, “অবিলম্বে বাড়িটি ভেঙে ফেলার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। যত দিন ভাঙা না হচ্ছে ততদিন সামনের অংশ ঘেরা থাকবে।” এখানেই প্রশ্ন উঠছে প্রাচীন এই বাড়িটি নিয়ে যেখানে স্থানীয়রা উদ্বিগ্ন ছিলেন সেখানে আগেভাগেই কেন কোনও ব্যবস্থা নিল না প্রশাসন?
ছবি: শান্তনু দাস