সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: এ যেন রুপালি পর্দার বান্টি-বাবলি জুটি! কখনও কাউকে বোকা বানিয়ে লুঠ তো কখনও বাইকে চড়ে মোবাইল ছিনতাই। এটাই যেন ওই দম্পতির রোজনামচা। তবে স্রেফ শখে নয়, তারা ছিনতাই করত নেশার পয়সা জোগাতে। দিল্লির ওই বান্টি-বাবলিকে হাতেনাতে ধরার পর পুলিশ বলছে, দুজনে ড্রাগের নেশায় বুঁদ হয়ে থাকত। সেই নেশার খোরাক জোগাতেই চুরি, ছিনতাইয়ে হাত পাকিয়েছিল ওই দম্পতি।
পুলিশ সূত্রে খবর, দিল্লির বিভিন্ন এলাকা মোবাইল ফোন ছিনতাই হচ্ছিল। তদন্তে নেমে দেখা যায় সবকটা চুরির ছক একইরকম। একজন স্কুটি চালাচ্ছে। পিছনে বসে থাকা আরোহী মোবাইল ছিনতাই করে পালাচ্ছে। বিভিন্ন এলাকার সিসিটিভি ফুটেজ পরীক্ষা করে দেখা যায়, একটি সাদা স্কুটিতে চড়ে দুজন আসছিল। বাইক যে চালাচ্ছে তার মুখ মাস্কে ঢাকা। সে পুরুষ। পিছনে ওড়নায় মুখ ঢেকে বসে থাকে এক মহিলা। আর সেই মোবাইল ছিনতাই করছে। কিন্তু সিসিটিভি ফুটেজের গুনমান খারাপ হওয়ায় দুই কীর্তিমানের চেহারা বোঝা যাচ্ছিল না। এরপরই কোমর বেঁধে তদন্তে নামে দিল্লি পুলিশ। সিসিটিভি ফুটেজের উপর ভরসা করে দুজনের একটি স্কেচ তৈরি করা হয়। সেই স্কেচে ভরসা রেখে তল্লাশি শুরু হয়। শেষমেশ সূত্র মারফত পাহারগঞ্জ এলাকার এক দম্পতির হদিশ মেলে।
[আরও খবর : বাড়ি ফেরার দাবিতে ফের শ্রমিক বিক্ষোভ সুরাটে, পাথরের ঘায়ে জখম পুলিশ় ]
শেষপর্যন্ত কিষানগঞ্জের রেলওয়ে কলোনি থেকে ওই দম্পতিকে গ্রেপ্তার করা হয়। উদ্ধার হয় চোরাই মালপত্রও। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃত যুবকের নাম অর্জুন ওরফে কৈলাশ। সে পাহারগঞ্জের মূলতানি ধান্ডার বাসিন্দা। কুকর্মের ভাগিদার তার স্ত্রীর নাম বৈশালি কৌশল। তাদের কাছ থেকে একটি চোরাই স্কুটি ও চারটি মোবাইল ফোন মিলেছে। অর্জুন মধ্য দিল্লির পুরনো অপরাধী। তার বিরুদ্ধে ৩১টি অভিযোগ রয়েছে। সে ড্রাগের নেশায় বুঁদ হয়ে থাকত।
[আরও খবর : করোনা আক্রান্ত সন্দেহে হাতির হামলায় মৃতকে ছুঁল না পরিবার, শেষকৃত্য করলেন পুলিশ আধিকারিক]
আরও জানা গিয়েছে, তিন মাস আগে করোল বাগের মানকপুরার বাসিন্দা বৈশালিকে বিয়ে করেন। সে ট্যাটু শিল্পী এবং ড্রাগের নেশায় ঢুবে থাকে। সেই ড্রাগের নেশার টাকা জোগার করতেই রঘুবীর নগর থেকে প্রথমে একটি স্কুটি চুরি করে তারা। পরে তাতে চেপেই একের পর এক কুকর্ম ঘটাত এই বান্টি-বাবলি
The post নেশার খরচে টান, চোরাই স্কুটিতে চেপে মোবাইল ছিনতাই ‘বান্টি-বাবলি’র appeared first on Sangbad Pratidin.