সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়, দুর্গাপুর: রিলসের নেশা কাড়ল দুটি প্রাণ। দামোদরে তলিয়ে গেলেন এক যুবতীর। এক কিশোরীর নিথর দেহ উদ্ধার হয়েছে। এখনও খোঁজ মেলেনি আরও একজন। মৃতের নাম বিউটি পাসোয়ান (২০)। ঝাড়খণ্ডের রাঁচির বাসিন্দা। এখনও খোঁজ মেলেনি অণ্ডাল থানার মদনপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের বাস্কার ফিল্টার হাউসের বাসিন্দা জ্যোতি প্রসাদের।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বাস্কার বাসিন্দা জ্যোতি প্রসাদের বাড়িতে রাঁচি থেকে আসেন দুই আত্মীয় বিউটি পাসোয়ান এবং প্রিয়াঙ্কা পাসোয়ান। শনিবার সকালে তিনজনে অণ্ডালের বাস্কা ফিল্টার হাউসের সামনে দামোদর নদের পাড় থেকে মোবাইল হাতে নিয়ে রিলস বানাতে থাকেন। প্রিয়াঙ্কাকে পড়ে যেতে দেখে নদীতে ঝাঁপ দেন জ্যোতি আর বিউটি। প্রিয়াঙ্কা কোনওরকমে নদীর পাড়ে উঠে আসেন। তবে তলিয়ে যেতে থাকে জ্যোতি আর বিউটি। প্রিয়াঙ্কার চিৎকার শুনে স্থানীয়রা নদীতে ঝাঁপ দেয়। ততক্ষণে জ্যোতি আর বিউটি তলিয়ে যান। বেশ কিছুক্ষণ পর বিউটিকে উদ্ধার করা হয়। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাঁকে অণ্ডাল ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়। চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে জানান। তবে এখনও নিখোঁজ জ্যোতি।
[আরও পড়ুন: বিধানসভা উপনির্বাচনে দুরন্ত ফল ‘ইন্ডিয়া’র, জোর ধাক্কা বিজেপি জোটের]
ঘটনাস্থলে পৌঁছয় অণ্ডাল থানার পুলিশ। তলিয়ে যাওয়া যুবতীর সন্ধানেও চলছে তল্লাশি। প্রত্যক্ষদর্শী মিন্টু বসু বলেন,"ওই তিন যুবতী রিলস বানাচ্ছিলেন দামোদরের পাড়ে। তখনই প্রিয়াঙ্কার পা পিছলে যায়। আরও দুই যুবতী নদীতে ঝাঁপ দেন। প্রিয়াঙ্কা উঠে এলেও ওই দুই যুবতী তলিয়ে যান। আমরা সকলে মিলে এক যুবতীকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাই। চিকিৎসকরা মৃত বলে জানান। আরেক যুবতীর এখনও খোঁজ পাওয়া যায়নি।" অণ্ডালের প্রবীণ বাসিন্দা পূর্ণেন্দু সরকার বলেন,"মানসিক ব্যাধিতে রূপান্তরিত হয়েছে রিলস বানানোর প্রতিযোগিতা।" জ্যোতিকে খুঁজতে দামোদরে তল্লাশি শুরু করেছে পুলিশ ও বিপর্যয় মোকাবিলা দপ্তর।