সৌরভ মাজি, বর্ধমান: গোবিন্দভোগ বা খাসচাল পূর্ব বর্ধমান জেলার অন্যতম পরিচিতি সূচক। এই সুগন্ধী ধানের জিওগ্রাফিক্যাল আইডেন্টিফিকেশন বা জিআই-ট্যাগও পেয়েছে পূর্ব বর্ধমান জেলা। এবার স্বয়ম্ভর গোষ্ঠীর হাত ধরে বিদেশ পাড়ি দিচ্ছে রাজ্যের গোবিন্দভোগ চাল। জেলার কুটির বর্ধমান ব্র্যান্ডের নামেই এই চাল বাজারজাত করার প্রক্রিয়া শুরু করা হয়েছে ইতিমধ্যে। নিঃসন্দেহে সুখবর!
জেলার রায়না-১ ও ২ ব্লক, খণ্ডঘোষ, জামালপুরের বিস্তীর্ণ এলাকায় প্রচুর পরিমাণে গোবিন্দভোগ ধানের চাষ হয়ে থাকে। দক্ষিণভারতের বিভিন্ন রাজ্য এবং বিদেশেও এই সুগন্ধী ধানের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। দক্ষিণভারতের রাজ্যগুলিতে মূলত বিরিয়ানি তৈরিতে ব্যবহার করা হয় এখানকার গোবিন্দভোগ চাল। বিভিন্ন রাইস মিল বা চাল ব্যবসায়ীরা তা রপ্তানি করে থাকেন। এবার গ্রামীণ এলাকার মহিলাদের ধান থেকে গোবিন্দভোগ চাল উৎপাদনের ব্যবস্থা করে দিচ্ছে জেলা প্রশাসন। তারপর তা প্যাকেটজাত করে ‘কুটির বর্ধমান’ লোগো দিয়ে বিপণনের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। জেলায় ইতিমধ্যে কুটির বর্ধমান লোগো দিয়ে গোষ্ঠী ও কয়েকটি সংস্থার তৈরি হ্যান্ড স্যানিটাইজার বাজারজাত হচ্ছে। এবার গোবিন্দভোগও একই ব্র্যান্ডের নামে বিক্রি হবে খোলা বাজারে।
[আরও পড়ুন: কেরলের ছায়া বাংলায়, বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের জঙ্গল লাগোয়া খেতে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট করে হাতি খুন]
জেলাশাসক বিজয় ভারতী জানিয়েছেন, রায়না-২ নম্বর ব্লকের কৃষক বাজারে গোবিন্দভোগ চালের মডেল প্রকল্প চালু করা হচ্ছে। সেখানে স্বয়ম্ভর গোষ্ঠীর মহিলারা গোবিন্দভোগ চাল চাষীদের কাছ থেকে কিনবেন। তা থেকে চাল তৈরি করবেন। উন্নতমানের প্যাকেজিং এবং কুটির বর্ধমান ব্র্যান্ড নেম দিয়ে তা বাজারে ছাড়া হবে। গোষ্ঠীর মহিলাদের প্রশাসনের তরফে সবরকম সহযোগিতা দেওয়া হবে। জেলাশাসক বলেন, “গোবিন্দভোগ চালের বাজারে ভাল চাহিদা। কুটির বর্ধমান ব্র্যান্ড বিদেশেও রপ্তানি করতে পারবেন স্বয়ম্ভর গোষ্ঠীর সদস্যরা। ভাল আয়ের সুযোগ পাবে তাঁরা।”
[আরও পড়ুন: সম্পর্ক না মানায় কিশোরীকে ‘খুন’, প্রেমিকের পরিবারের বিরুদ্ধে পুলিশের দ্বারস্থ ছাত্রীর বাবা-মা]
The post ব্র্যান্ড বাংলার বিশ্বজয়, বর্ধমানের গোবিন্দভোগ চাল এবার বিদেশের বাজারে appeared first on Sangbad Pratidin.