অর্ণব দাস, বারাকপুর: রাতের কলকাতায় (Kolkata) ফের দুই বাসের মধ্যে রেষারেষি। ধর্মতলা থেকে বারাকপুরগামী দুটি বাসের মধ্যে রাস্তায় রেষারেষির জেরে ধুন্ধুমার কাণ্ড। সোদপুরের কাছে এক বাসের উপর হামলা (Attack) চালানোর অভিযোগ আরেক বাসচালকের বিরুদ্ধে। চলে মারধর, ছিনতাইও। হামলায় আহত আরেক বাসের মালিক। ঘটনার তদন্তে নেমেছে পুলিশ। আক্রান্ত মালিকের দাবি, পুলিশ যথাযথ ব্যবস্থা না নিলে মঙ্গলবার তাঁরা পথে বাস (Bus) নামাবেন না।
সোমবার রাতে শিয়ালদহ সংলগ্ন এমজি রোড (MG Road) থেকেই দুটি বাসের রেষারেষি চলছিল। একটি ধর্মতলা-বারাকপুর রুটের ৭৮ বাস ও আরেকটি ধর্মতলা-সোদপুর রুটের ২১৪এ বাস। একে অপরকে টেক্কা দিতে দিতেই বিটি রোড ধরে সোদপুর গির্জা মোড় পর্যন্ত আসে বাস দুটি। তারপরই বাঁধে গোলমাল।
[আরও পড়ুন: চিন-পাক সীমান্তে যন্ত্রের ‘কান’, মুহূর্তে শত্রুর খবর চলে আসবে সেনার হাতে!]
অভিযোগ, গির্জা মোড়ের কাছে এসে আচমকা ৭৮-এর বাসচালক বাস থেকে নেমে এসে ২১৪এ বাসের কাচ ভেঙে দেয়। ২১৪-এ বাসের মালিক বাসের মধ্যে বসেই টাকা গুনছিলেন। তিনি কাচ ভাঙার খরচ চান হামলাকারী ৭৮নং বাসের চালকের কাছে। তখনই বচসা থেকে শুরু হয় মারামারি। ২১৪এ মালিক শুভঙ্কর দে’র মাথা ফাটিয়ে দেয় ৭৮ নং বাসের চালক, এমনই অভিযোগ। তাঁর কাছে থাকা টাকার ব্যাগও ছিনিয়ে নেওয়া হয়।
[আরও পড়ুন: ২০১৭’র টেটে উত্তীর্ণ প্রার্থীদের নম্বর প্রকাশ পর্ষদের, ২০১৪’র নম্বরও জানা যাবে চলতি সপ্তাহে]
পরে ৭৮নং বাসের চালক ও তার কুড়ি-পঁচিশ জন সাকরেদ জমায়েত হয়। এরপর শুরু হয় উভয় পক্ষের মারামারি। বাসের মালিক মারামারিতে আহত হন। তাঁকে বলরাম হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। গন্ডগোলের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় খড়দহ (Khardah) থানার পুলিশ। যদি পুলিশ কোনও ব্যবস্থা না নেয় তাহলে মঙ্গলবার দিনভর তাঁরা বাস বন্ধ রেখে প্রতিবাদ জানাবেন, এমনটাই হুঁশিয়ারি দিয়েছেন ২১৪এ রুটের বাসের কর্মী ও মালিকরা।