বুদ্ধদেব সেনগুপ্ত, নয়াদিল্লি: দিল্লি মদকাণ্ডে ফের সুপ্রিম ধাক্কা ইডি ও সিবিআইয়ের। জামিন পেয়ে গেলেন শেষ অভিযুক্ত ব্যবসায়ী আমনদীপ সিং ঢাল। দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল থেকে ব্যবসায়ী ঢাল, কাউকেই জেলবন্দি রাখতে পারল না কেন্দ্রীয় তদন্তকারী এই দুই সংস্থা। আগেই জামিন পেয়েছেন দিল্লির প্রাক্তন উপমুখ্যমন্ত্রী মনীশ সিসোদিয়া, বিআরএস নেত্রী কে কবিতা। দিল্লি বিধানসভা নির্বাচনের আগে এদের সকলের জেলমুক্তির ফলে অস্বস্তিতে গেরুয়া শিবির।
গত বছরের মার্চ মাসের সিবিআই এর হাতে গ্রেপ্তার হন ব্যবসায়ী আমানদীপ সিং। এছাড়াও গ্রেপ্তার হয়ে জেলবন্দি ছিলেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল, উপমুখ্যমন্ত্রী মনীশ সিসোদিয়া ও তেলেঙ্গানার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী কে চন্দ্রশেখর রাওয়ের কন্যা কে কবিতা। আগেই এরা সুপ্রিম কোর্ট থেকে জামিন পেয়েছিলেন। শেষ জেলবন্দি ছিলেন এই ব্যবসায়ী। শুক্রবার এই ব্যবসায়ীর আইনজীবী সওয়াল করে জানান, প্রায় দেড় বছর আগে তার মক্কেলকে গ্রেপ্তার করা হলেও এখনও পর্যন্ত সঠিক তথ্য প্রমাণ পেশ করতে পারেনি। ট্রায়ালও শুরু করা যায়নি। বাকি অভিযুক্তরা সকলেই জামিনে মুক্ত রয়েছেন।
এদিন ইডির আইনজীবীর তরফে একটি গুরুতর অভিযোগ আনা হয়। আইনজীবী অভিযোগ করেন অভিযুক্ত ব্যবসায়ী তদন্তকারী অফিসারদের ঘুষ দেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন। দুপক্ষের সওয়াল-জবাব শোনার পর দুই বিচারপতির বেঞ্চ ওই ব্যবসায়ীর জামিন মঞ্জুর করেন। তবে জামিনের ক্ষেত্রে বেশ কয়েকটি শর্ত আরোপ করা হয়েছে।
এর ফলে দিল্লির মদ কেলেঙ্কারিতে এ পর্যন্ত যতজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল, তাঁরা প্রত্যেকেই জেল থেকে মুক্তি পেয়ে গেলেন। স্বাভাবিকভাবেই এই মামলা বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন উঠে গেল। আম আদমি পার্টি শুরু থেকে বলে আসছে, তাঁরা রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার। সব অভিযুক্ত মুক্তি পেয়ে যাওয়ায় আপের সেই অভিযোগই যেন বৈধতা পেল।