সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: এই শতকের ছয়ের দশকের মধ্যেই ভারতের জনসংখ্যার রেখাচিত্র শীর্ষে পৌঁছে যাবে। কিন্তু তার পরই তা কমতে শুরু করবে। প্রায় ১২ শতাংশ কমে যাবে ২১০০ সালের মধ্যে। কিন্তু তখনও বিশ্বের সবচেয়ে জনবহুল দেশ থাকবে ভারতই। এদেশের জনসংখ্যা থাকবে চিনের প্রায় আড়াই গুণ। এমনটাই জানাল রাষ্ট্রসংঘ।
গত বৃহস্পতিবার প্রকাশিত হয়েছে 'ওয়ার্ল্ড পপুলেশন প্রসপেক্টস ২০২৪'-এর রিপোর্ট। সেই রিপোর্টে বলা হয়েছে, ২০৬০ নাগাদ ভারতের জনসংখ্যা ১৭০ কোটিতে পৌঁছবে। তার পরই তা কমতে আরম্ভ করবে। একই ট্রেন্ড লক্ষ করা যাবে গোটা বিশ্বেই। ২০৮০ সালের মাঝামাঝি বিশ্বের জনসংখ্যা ১০.৩ বিলিয়ন তথা ১০০০ কোটি ছাপিয়ে যাবে। তবে এর পরই তা কমতে থাকবে। শতাব্দী শেষ হতেই সব মিলিয়ে ১০ কোটি জনসংখ্যা হ্রাস পাবে গোটা পৃথিবী মিলিয়ে।
[আরও পড়ুন: মাদক পাচারের চেষ্টা! হাতেনাতে গ্রেপ্তার ‘খালিস্তানি’ সাংসদ অমৃতপাল সিংয়ের ভাই]
রাষ্ট্রসংঘের দাবি, এই মুহূর্তে ভারত চিনকে টপকে গিয়েছে। ২১০০ সালেও ভারতই বিশ্বের সবচেয়ে জনবহুল দেশ থাকবে। যদিও আগের চল্লিশ বছরের তুলনায় তা হ্রাস পাবে ১২ শতাংশ। রিপোর্ট থেকে জানা যাচ্ছে, ২০২৪ সালে ভারতের জনসংখ্যা ১৪৫ কোটি। ২০৫৪ সালে তা বেড়ে হবে ১৬৯ কোটি। কিন্তু ২১০০ সালে তা কমে দাঁড়াবে দেড়শো কোটিতে।
গত এপ্রিলে রাষ্ট্রসংঘের একটি রিপোর্টে দাবি করা হয় জনসংখ্যার নিরিখে চিনকে (China) ছাপিয়ে গিয়েছে ভারত (India)। যদিও পরে বেজিং জানায়, এখনও চিনে কর্মক্ষম মানুষের সংখ্যা অনেক বেশি। জনসংখ্যা বাড়াটা কোনও কৃতিত্বের বিষয় নয়, বরং কর্মক্ষম জনতার সংখ্যা বাড়লেই সেটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। ১৯৫০ সাল থেকে আনুষ্ঠানিক ভাবে জনসংখ্যা সমীক্ষা শুরু করেছে রাষ্ট্রসংঘ। গত বাহাত্তর বছরে প্রথমবার বিশ্বের সবচেয়ে জনবহুল দেশের তকমা পেয়েছে ভারত। যা দীর্ঘদিন যাবৎ ছিল চিনের দখলে। সাম্প্রতিক সমীক্ষা মোতাবেক বিশ্বের তৃতীয় জনবহুল দেশ আমেরিকা (USA)। সেখানে জনসংখ্যা ৩৪ কোটি।