সুদীপ রায়চৌধুরী: চোপড়ায় চার শিশুর মৃত্যুকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক মহলে ক্রমশ চড়ছে উত্তেজনার পারদ। সন্দেশখালি নিয়ে হইচই করলেও কেন চোপড়ার দিকে নজর নেই কেন্দ্রের, তা নিয়ে ইতিমধ্যেই প্রশ্ন তুলেছে শাসক শিবির। রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোসের দ্বারস্থও হয়েছেন প্রতিনিধি দলের সদস্যরা। তারই মাঝে এবার চোপড়া যাচ্ছেন রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস। সোমবার রাতে শিয়ালদহ স্টেশন থেকে দার্জিলিং মেলে চড়ে কালিয়াগঞ্জের উদ্দেশে রওনা দেবেন তিনি। মঙ্গলবার কালিয়াগঞ্জ থেকে সড়কপথে চোপড়া পৌঁছবেন রাজ্যপাল।
উত্তর দিনাজপুরের চোপড়া থানার চেতনাগছ গ্রামে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে ছোট নিকাশি নালা ছিল। তা সম্প্রসারণের জন্য জেসিবি দিয়ে মাটি তোলা হচ্ছিল। বিএসএফের (BSF) অধীনে ‘নো ম্যানস ল্যান্ডে’ কেন্দ্রের সিপিডব্লিউডি রাস্তার পাশে মাটি তুলছিল। নতুন করে নালা তৈরির কাজ চলছিল। এলাকার সেই কাজ দেখতে গিয়েছিলেন স্থানীয় বাসিন্দারা। ওই সময় ৬ থেকে ১৪ বছরের বাচ্চারা খেলছিল সেখানে। খেলতে খেলতেই নালায় পড়ে গিয়ে মৃত্যু হয় ৪ জনের। এর পরই এই মৃত্যুর জন্য বিএসএফের অসাবধানতাকে দায়ী করে তোপ দাগতে শুরু করে তৃণমূল। যদিও সূত্রের খবর, বিএসএফ দাবি করেছে যে নালা সম্প্রসারণের কাজের দায় তাদের নয়।
[আরও পড়ুন: সহবাসের পর বিয়েতে ‘না’, প্রেমিকের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ তুলে আত্মহত্যার চেষ্টা তরুণীর]
সোশাল মিডিয়ায় সরব হন শাসকদলের নেতারা। কড়া শাস্তির দাবি জানান খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর গত মঙ্গলবার এনিয়ে পদক্ষেপ করতে ১২ সদস্যের প্রতিনিধি দল গড়ে তৃণমূল। ওই প্রতিনিধি দলে রয়েছেন চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য, ফিরহাদ হাকিম, অরূপ বিশ্বাস, উদয়ন গুহ, ব্রাত্য বসু, শশী পাঁজা, বীরবাহা হাঁসদা, গৌতম দেব, দোলা সেন, প্রতিমা মণ্ডল, জগদীশ বর্মা বসুনিয়া এবং কুণাল ঘোষ। গত ১৫ ফেব্রুয়ারি রাজ্যপালের সঙ্গে দেখাও করেন তাঁরা। শিশুমৃত্যুর ঘটনার প্রকৃত তদন্তের দাবি জানান সদস্যরা। সোমবার চোপড়ায় যাচ্ছেন চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। সন্তানহারা পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলবেন তিনি।