নন্দন দত্ত, সিউড়ি: এবার জমি জটে জড়াল অনুব্রতর (Anubrata Mandal) হিসাবরক্ষক মণীশ কোঠারি নামও। ২০১৬ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত বোলপুরের বুকে আনুমানিক ১৫ কোটি টাকার জমি কিনেছিলেন তিনি। এবার এমনই চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এল ভূমিদপ্তরের ওয়েবসাইট থেকে।
মণীশ কোঠারি ইতিমধ্যেই গ্রেপ্তার হয়েছে ইডির হাতে। ইডি সূত্রে খবর, তিনি অনুব্রত মণ্ডলের বিরুদ্ধে মুখও খুলেছেন। জানিয়েছেন অনেক তথ্যও।। কিন্তু, শুধুই কি অনুব্রতর হিসাবরক্ষক হিসেবেই কাজ করেছেন মণীশ? না কি অনুব্রতর গরু পাচারের টাকা লেনদেনের পাশাপাশি নিজেও পেয়েছিলেন মোটা টাকার ভাগ। এমন প্রশ্ন ইতিমধ্যেই উঠতে শুরু করেছে। কারণ, মণীশ কোঠারির সম্পত্তির পরিমাণ দেখলে চক্ষুচড়ক গাছ হতে পারে সকলের।
[আরও পড়ুন: আবাসনের অন্দরে ব্যবসা! দেবের বিরুদ্ধে আদালতের দ্বারস্থ প্রতিবেশী]
সরকারি তথ্য অনুযায়ী, শুধু বোলপুরের রূপপুর মৌজা, গোপালনগর মৌজা, কংকালীতলা মৌজা, দ্বারকানাথপুর মৌজা, সুরুল মৌজা-সহ বোলপুরের প্রায় সব মৌজাতেই রয়েছে মণীশ কোঠারির জমি। যার বাজারমূল্য হিসেব করলে দাঁড়ায় আনুমানিক ১৫ কোটির বেশি। আর এই সব জমিই তিনি কিনেছেন ২০১৬ সাল থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত। স্বাভাবিকভাবেই জমির এই তথ্যের পর প্রশ্ন উঠে যাচ্ছে মনীশ কোঠারিকে নিয়েও।
তাৎপর্যপূর্ণভাবে, ২০২২ সাল থেকে অনুব্রত মণ্ডলের অ্যাকাউন্টের হিসেব সামলেছেন মণীশ। দেখা যাচ্ছে, হিসাব সামলানো যাঁর দায়িত্ব, তিনিই নিজে দুর্নীতিগ্রস্ত। ফলে জেলা তৃণমূলের একাংশ মনে করছে,হিসাবরক্ষক নিজে ডুবেছেন সঙ্গে তাঁর ক্লায়েন্ট অনুব্রত মণ্ডলকে ডুবিয়েছেন। তাঁদের মতে, মণীশের প্রতি বিশ্বাস রেখে ডুবেছেন অনুব্রত। কারণ দলের সংগঠন নিয়ে ব্যস্ত থাকতেন কেষ্ট মণ্ডল। আর তাঁর অগোচরেই এই বিশাল সম্পত্তি গড়েছেন মণীশ।