সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ষোড়শ অর্থ কমিশন গঠনের যাবতীয় শর্ত এবং নিয়মাবলিতে ছাড়পত্র দিয়ে দিল কেন্দ্র। এই অর্থ কমিশনই ঠিক করে কেন্দ্র এবং রাজ্যের মধ্যে রাজস্ব ভাগের অনুপাত কী হবে। তাছাড়া কেন্দ্র ও রাজ্যের যৌথ নিয়ন্ত্রণাধীন বিষয়গুলি কীভাবে পরিচালিত হবে, তার নিয়মাবলিও ঠিক করে দেবে এই অর্থ কমিশন।
এমনিতে অর্থ কমিশনের মেয়াদ হয় ৫ বছর। কিন্তু এন কে সিংয়ের নেতৃত্বে যে পঞ্চদশ অর্থ কমিশন গঠিত হয়েছিল, সেই অর্থ কমিশনের মেয়াদ অতিরিক্ত এক বছর বাড়ানো হয়। কেন্দ্রের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, পঞ্চদশ অর্থ কমিশনের মেয়াদ শেষ হচ্ছে ২০২৫-২৬ অর্থবর্ষে। যা নিয়ে অতীতে প্রবল অসন্তোষ প্রকাশ করেছে বিরোধীরা। বিশেষ করে জিএসটি চালুর পর রাজ্যের ভাগে আসা রাজস্বের পরিমাণ কমেছে, রাজ্য সরকারগুলিকে বঞ্চনার শিকার হতে হচ্ছে, এই ধরনের একাধিক অভিযোগ করেছেন এরাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
[আরও পড়ুন: পার্থ ঘনিষ্ঠ তৃণমূল কাউন্সিলর বাপ্পাদিত্য দাশগুপ্তের বাড়িতে CBI হানা]
বঞ্চনার সেই সব অভিযোগের মধ্যেই নয়া অর্থ কমিশন গঠনের শর্তাবলিতে ছাড়পত্র দিয়ে দিল কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা। বুধবার মন্ত্রিসভার বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত হয়েছে। বৃহস্পতিবার অনুরাগ ঠাকুর সেই সিদ্ধান্ত জানিয়েছেন। ২০২৫ সালের ৩১ অক্টোবরের মধ্যে ষোড়শ অর্থ কমিশনকে রিপোর্ট দিতে বলা হয়েছে। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর জানিয়েছেন, নতুন অর্থ কমিশন মাত্র দু’বছর সময় পাবে রিপোর্ট পেশ করার জন্য। দ্রুত কমিশনের সদস্যদের কাজ শুরু করতে বলা হবে।
[আরও পড়ুন: জামিন পেয়েও হল না জেলমুক্তি, ফের ‘গ্রেপ্তার’ কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়]
দ্রুত অর্থ কমিশন বসানোর দাবি অনেক দিন ধরেই করে আসছিলেন বিরোধীরা। অবশেষে কেন্দ্র তাতে ছাড়পত্র দিল। এখন প্রশ্ন, রাজ্যে রাজ্যে বঞ্চনার যে অভিযোগ উঠছে, নতুন অর্থ কমিশন কি সেই অভিযোগ খতিয়ে দেখবে?