সোমনাথ রায়: নরেন্দ্র মোদির মন্ত্রিসভায় (Narendra Modi 3.0) দ্বিতীয়বার স্থান করে নিলেন বনগাঁর সাংসদ শান্তনু ঠাকুর। গতবারও জাহাজ ও জলপথের প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব সামলেছিলেন তিনি। এবারও একই দায়িত্ব রইল তাঁর। তবে প্রথমবার কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার সদস্য হয়েই 'ডবল ধামাকা' সুকান্ত মজুমদারের। কোন দায়িত্ব পেলেন রাজ্য বিজেপির সভাপতি?
দুই মন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রী হয়েছেন সুকান্ত। কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রী হয়েছেন তিনি। উত্তর পূর্ব উন্নয়ন মন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্বও সামলাবেন সুকান্ত। উল্লেখ্য, গতবার কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্বে ছিলেন বাঁকুড়ার সাংসদ সুভাষ সরকার। এবার প্রতিপক্ষ অরূপ চক্রবর্তীর কাছে হেরে গিয়েছেন তিনি। সেই পদে এলেন সুকান্ত।
[আরও পড়ুন: ফের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী শাহ, রেল পেলেন না নীতীশ! নতুন সরকারে কোন পদে কে?]
মোদি ৩.০ মন্ত্রিসভায় ঠাঁই হলেও পূর্ণমন্ত্রিত্ব পেলেন না বাংলার কেউ। সুকান্ত মজুমদার ও শান্তনু ঠাকুরকে প্রতিমন্ত্রীর সান্ত্বনা পুরস্কার নিয়েই ফিরতে হল দিল্লি থেকে। এটা রবিবারই স্পষ্ট হয়ে গিয়েছিল সকলের কাছেই। উনিশে বিজেপির ইতিহাস বাংলায় সবচেয়ে ভালো ফল করেছিল তারা। ১৮ জন সাংসদ ছিল তাঁদের। তার পরেও কাউকে পূর্ণ মন্ত্রিত্ব দেওয়া হয়নি। মেয়াদের মাঝখানেই ঢেলে সাজানো হয় মন্ত্রিসভা, সেই সময় চার সাংসদ ঠাঁই পেয়েছিলেন প্রতিমন্ত্রী হিসেবে। ছিলেন কোচবিহারের নিশীথ প্রামানিক-কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রী, বাঁকুড়া সাংসদ সুভাষ সরকার, কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী, বনগাঁর সাংসদ শান্তনু ঠাকুর- জাহাজ প্রতিমন্ত্রী। আলিপুরদুয়ারের সাংসদ জন বার্লাও মন্ত্রিত্ব সামলেছিলেন।
এবার বঙ্গে বিজেপির সাংসদ সংখ্যা ১২। যা উনিশের নিরিখে অনেকটাই কম। স্বাভাবিকভাবে রাজ্য থেকে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর সংখ্যাও কমেছে। রাজনৈতিক মহল বলছে, মতুয়া ভোটের অঙ্ক মাথায় রেখে শান্তনু ঠাকুরকে মন্ত্রী করেছেন মোদি-শাহ।আবার উত্তরবঙ্গ থেকে দুজনের বদলে মাত্র একজনকে মন্ত্রী করেছে বিজেপি। তবে বালুরঘাটের সাংসদ সুকান্ত মজুমদারকে দুটি মন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রী করলেন তাঁরা।