সুকুমার সরকার, ঢাকা: বাংলাদেশে দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করেছে আওয়ামি লিগ। বিপুল জন সমর্থন পেয়েছেন দলের সভাপতি শেখ হাসিনা। রেকর্ড ব্যবধানে জিতে টানা চতুর্থবার প্রধানমন্ত্রীর মসনদে বসতে চলেছেন মুজিবকন্যা। এই সাফল্যকে সামনে রেখে আগামী ১৫ জানুয়ারির মধ্যেই নতুন মন্ত্রিসভা গঠিত হতে পারে বলে জানা গিয়েছে।
সোমবার ঢাকায় সচিবালয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে নতুন মন্ত্রিসভা গঠনের বিষয়টি জানান বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু। তিনি বলেন,”আগামী ১৫ জানুয়ারির মধ্যেই নতুন মন্ত্রিসভা গঠিত হতে পারে।” রবিবারের নির্বাচন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “কমিশন অত্যন্ত পেশাগত দক্ষতা ও স্বচ্ছতার মধ্য দিয়ে নির্বাচন পরিচালনা করেছে। এবারের নির্বাচনে ছিল সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ। জনগণ স্বতঃস্ফূর্তভাবে ভোট দিয়েছেন।”
[আরও পড়ুন: ‘শান্তিপূর্ণ ও সুষ্ঠু নির্বাচন’, হাসিনা সরকারের প্রশংসায় বিদেশি পর্যবেক্ষকরা, তবু রয়েছে প্রশ্ন]
৭ জানুয়ারি, রবিবার ২৯৯টি সংসদীয় ক্ষেত্রের (মোট ৩০০) জন্য ভোটগ্রহণ হয় বাংলাদেশে। প্রার্থীর মৃত্যুতে একটি আসনে ভোট হয়নি। ফলাফল বেরলে দেখা যায় প্রত্যাশা মতো আওয়ামি লিগ জয়ী হয়েছে ২২৩টি আসনে। শাসকদলের জোটসঙ্গী জাতীয় পার্টি (এরশাদ) পেয়েছে মাত্র ১১টি সিট। আসনরফা মেনে ২৬টি আসনে লড়াই করার সুযোগ পেলেও এরশাদের দল তা কাজে লাগাতে ব্যর্থ হয়েছে। বিশ্লেষকদের চমকে, ৬১টি সিট ঝুলিতে পুরতে সক্ষম হয় নির্দল প্রার্থীরা। যদিও খবর অনুযায়ী তাঁরা আসলে আওয়ামি লিগের ‘ডামি প্রার্থী’।
অন্যদিকে, বাংলাদেশের নির্বাচনকে অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ বলে অভিহিত করেছেন বিদেশি পর্যবেক্ষকরা। সোমবার ঢাকায় জাতীয় প্রেস ক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে প্রতিনিধিরা জানান, রবিবার তাঁরা বিভিন্ন ভোটকেন্দ্রে গিয়ে নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করেছেন। নির্বাচন সফল, বৈধ ও গ্রহণযোগ্য হয়েছে। এজন্য তাঁরা নির্বাচন কমিশন ও বাংলাদেশের জনগণকে অভিনন্দন জানান। বাংলাদেশে গণতন্ত্র বিপন্ন এবং মানবাধিকার হননের অভিযোগে সরব হয়েছিল আমেরিকা ও পশ্চিমের দেশগুলো। কিন্তু সোমবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারকে দরাজ সার্টিফিকেট দেন বিদেশি পর্যবেক্ষকরা।