সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বারবার দুর্নীতি বিরোধী বার্তা দিয়েছেন। তাঁর বিখ্যাত সংলাপ, ‘না খাউঙ্গা, না খানে দুঙ্গা।’ তথাপি গোড়ায় গলদ! খোদ বিজেপি শাসিত মধ্যপ্রদেশে (Madhya Pradesh) প্রধানমন্ত্রী গ্রামীণ আবাস যোজনায় (Pradhan Mantri Awas Yojana) কোটি কোটি টাকার অভিযোগ উঠল। বিরোধীরা নয়, অভিযোগ খোদ সিএজির (CAG) রিপোর্টেই। কী বলা হয়েছে ওই রিপোর্টে?
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসে প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী সিএজি রিপোর্টে বলা হয়েছে,রাজ্যের বিজেপি (BJP) সরকার কমপক্ষে দেড় হাজার ‘অযোগ্য’ ব্যক্তিকে নিয়ম ভেঙে সুবিধা দিয়েছে। প্রধানমন্ত্রী গ্রামীণ আবাস যোজনায় ‘বেআইনি’ ভাবে ১৫ কোটি টাকা আর্থিক সহায়তা করা হয়েছে। তফসিলি জাতি-জনজাতিদের ক্ষেত্রে আরও ৮,০০০ জনকে প্রধানমন্ত্রী গ্রামীণ আবাস যোজনার সুবিধা পাইয়ে দেওয়া হয়েছে।
[আরও পড়ুন: সন্দেশখালিতে গণধর্ষণের আরও এক মামলা দায়ের, রাতে এলাকা পরিদর্শনে ডিজি]
উল্লেখ্য, ৮ ফেব্রুয়ারি মধ্যপ্রদেশ বিধানসভায় ওই রিপোর্ট অনুযায়ী, আবাস যোজনার দুর্নীতিতে অভিযুক্ত অতীতের কংগ্রেস সরকারও। ২০১৬ থেকে ২০২১ সালের মধ্যে প্রধানমন্ত্রী গ্রামীণ আবাস যোজনায় সে রাজ্যে মোট ২৪ হাজার ৭২৩ কোটি টাকা খরচ হয়েছিল। যদিও ৬৪টি ক্ষেত্রে একই ব্যক্তি দু’বার এবং ৯৮টি ক্ষেত্রে একই পরিবারের দুই পৃথক ব্যক্তি নিয়ম ভেঙে প্রকল্পের অর্থ পেয়েছেন বলে সিএজি-র রিপোর্টে বলা হয়েছে। ২০১৮ সালের ডিসেম্বর থেকে ২০২০ সালের মার্চ পর্যন্ত প্রায় দেড় বছর মধ্যপ্রদেশে ক্ষমতায় ছিল কংগ্রেস। বাকি সময়ে বিজেপি।
[আরও পড়ুন: জন্মেই রেকর্ড বিরাটপুত্রের! ‘বাবার নজির ভাঙবে অকায়’, আশা পাকিস্তানি ক্রিকেটপ্রেমীদের]
উল্লেখ্য, বাংলায় প্রধানমন্ত্রী গ্রামীণ আবাস যোজনায় আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগ তুলেছিল বিজেপি তথা ক্ষমাতাসীন কেন্দ্রীয় সরকার। অভিযোগ খতিয়ে দেখতে দফায় দফায় কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক দল পাঠানো হয়েছিল। ওই অভিযোগেই বন্ধ রাখা হয়েছে ১০০ দিনের কাজের প্রকল্পে কেন্দ্রীয় অর্থসাহায্য। যার বিরুদ্ধে সোচ্চার বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই আবহে মধ্যপ্রদেশের বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে সরব হয়েছে বিরোধীরা