রাহুল রায়: ডিএ মামলায় (DA Case) কলকাতা হাই কোর্টে বড় ধাক্কা রাজ্যের। মহার্ঘ ভাতা মামলার রায় পুনর্বিবেচনার আবেদন জানিয়েছিল রাজ্য সরকার। এদিন তাদের সেই আরজি খারিজ করে দিল বিচারপতি হরিশ ট্যান্ডন এবং বিচারপতি রবীন্দ্রনাথ সামন্তর ডিভিশন বেঞ্চ। আদালতে খারিজ হয়ে যায় রাজ্যের অর্থাভাবের যুক্তি। আদালতের রায়ে পুজোর আগে স্বস্তি পেল রাজ্য সরকারি কর্মচারীরা। তবে শীর্ষ আদালতে দ্বারস্থ হতে পারে রাজ্য সরকার।
এদিন ২০২২ সালে ২০ মে-র নির্দেশই বহাল রাখল আদালত (Calcutta High Court)। সেই নির্দেশে বলা হয়েছিল, ৩ মাসের মধ্যে রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের বকেয়া মহার্ঘ ভাতা মিটিয়ে দিতে হবে। কিন্তু সেই টাকা মেটায়নি রাজ্য সরকার। অর্থাভাবের যুক্তি দেখিয়ে নির্দেশ পুনর্বিবেচনার আরজি নিয়ে ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হয়েছিল রাজ্য সরকার। কিন্তু বৃহস্পতিবার পুরনো নির্দেশই বহাল রাখল ডিভিশন বেঞ্চ।
[আরও পড়ুন: বিয়েতে রাজি ছিল না পরিবার, একই গাছে ফাঁস দিয়ে আত্মঘাতী নদিয়ার দুই স্কুল পড়ুয়া]
এদিন হাই কোর্ট সাফ জানিয়েছে, মহার্ঘভাতা বা ডিএ সরকারি কর্মচারীদের প্রাপ্য। রাজ্যের আবেদনের কোনও মেরিট নেই। এদিন আদালতের রায়দানের পর সরকারি কর্মচারীদের সংগঠনের তরফে সাফ জানানো হয়, রাজ্য সরকারের সঙ্গে আর কোনও সহযোগিতা করা হবে না। আইনি লড়াইয়ের পাশাপাশি প্রয়োজনে রাস্তায় নেমে আন্দোলন করবেন তারা। উল্লেখ্য, কলকাতা হাই কোর্টের নির্দেশের পর তিন মাস কেটে গিয়েছে, কিন্তু ডিএ মেলেনি। এরপরই আদালত অবমাননার অভিযোগ ফের কলকাতা হাই কোর্টে মামলা করে রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের সংগঠন। সেই মামলাগুলি এখনও বিচারাধীন।
বেতন কমিশনের সুপারিশ অনুযায়ী, রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের বকেয়া মহার্ঘভাতার দাবিতে স্যাটে ২০১৬ সালে মামলা দায়ের করে কনফেডারেশন অব স্টেট গভর্মেন্ট এমপ্লয়িজ। আবেদনে বলা ছিল, কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীরা ৩৪ শতাংশ হারে ডিএ পান। পশ্চিমবঙ্গ সরকার মাঝে ডিএ বাড়ালেও এখনও কেন্দ্রের তুলনায় রাজ্যের কর্মীরা ৩১ শতাংশ কম পান। মামলার পরিপ্রেক্ষিতে SAT-এর রায়ই বহাল রাখে হাই কোর্ট। কিন্তু সেই রায়ের পর তিনমাস শেষ হয়ে গেলেও মেলেনি DA। পালটা রাজ্য সরকার রিভিউ পিটিশন দায়ের করে। এদিন সেই আরজি খারিজ হয়ে গেল আদালতে।