রাহুল রায়: বিদেশ যাত্রার অনুমতি চেয়ে কলকাতা হাই কোর্টের (Calcutta High Court) অবসরকালীন বেঞ্চের দারস্থ হয়েছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের শ্যালিকা মেনকা গম্ভীর। কিন্তু সেই বেঞ্চে মেনকার গম্ভীরের আবেদন শুনানি হল না। বিচারপতি লপিতা বন্দ্যোপাধ্যায় মামলাটি রেগুলার বেঞ্চে পাঠিয়ে দেন। অর্থাৎ পুজোর ছুটির পর এই তাঁর আবেদনের শুনানি হবে।
বিচারপতির যুক্তি ছিল, রেগুলার বেঞ্চে ইতিমধ্যে একই ধরনের আরজি জানিয়ে রেখেছেন মেনকা। তাই অবসরকালীন বেঞ্চে শুনানির দরকার নেই। ছুটির পর কলকাতা হাই কোর্টে স্বাভাবিক কাজকর্ম শুরু হলে সেখানে এই মামলার শুনানি হবে।
[আরও পড়ুন: নিয়োগ দুর্নীতি: সুপ্রিম কোর্টে ধাক্কা মানিকের, আপাতত ইডির হেফাজতেই তৃণমূল বিধায়ক]
বিদেশ যাত্রার অনুমতি চেয়ে কলকাতা হাই কোর্টের দ্বারস্থ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের শ্যালিকা মেনকা গম্ভীর। মায়ের অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে ব্যাংকক যাওয়ার অনুমতি চেয়েছিলেন তিনি। আপাতত রেগুলার বেঞ্চের শুনানির জন্য় অপেক্ষা করতে হবে তাঁকে।
প্রসঙ্গত, কয়লা পাচার মামলায় একাধিকবার কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার জেরার মুখে পড়েন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর স্ত্রী রুজিরাকেও জেরা করা হয়। কয়লাপাচার মামলাতেই নাম জড়িয়েছে অভিষেকের শ্যালিকা তথা রুজিরার বোন মেনকা গম্ভীরেরও। সেপ্টেম্বরের ১০ তারিখ রাত ন’টার ইন্ডিগোর বিমানে ব্যাংকক যাওয়ার কথা ছিল তাঁর। সেই মতো রাত আটটায় তিনি দমদম বিমানবন্দরে পৌঁছে যান। কিন্তু এরপরই বিপত্তি। অভিবাসন দপ্তর থেকে তাঁকে আটকে দেওয়া হয়। জানানো হয়, ইডির নোটিসের জন্য বিদেশে যেতে পারবেন না তিনি।
[আরও পড়ুন: অনড় ইডি, সিজিও কমপ্লেক্সে হাজিরা দিতে আসতেই হল মানিক ঘনিষ্ঠ তাপস মণ্ডলকে]
মেনকা গম্ভীরের বিদেশ যাত্রার কথা অভিবাসন দপ্তরের তরফে ইমেল করে ইডির সদরদপ্তরে জানানো হয়। আর তাঁকে আড়াই ঘণ্টা বিমানবন্দরে বসিয়ে রাখা হয়। তারপর ইডির কলকাতার দপ্তরে আধিকারিকরা বিমানবন্দরে এসে তাঁর হাতে নোটিস ধরান। এরপরই হাই কোর্টে মেনকা গম্ভীর ইডির বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার মামলা করেছিলেন। সেই মামলার শুনানি এখনও বিচারাধীন।