গোবিন্দ রায়: পশ্চিমবঙ্গ ছাত্র সমাজের নেতা সায়ন লাহিড়ীকে মুক্তির নির্দেশ কলকাতা হাই কোর্টের। শনিবার দুপুরের মধ্যে তাঁকে মুক্তির নির্দেশ বিচারপতি অমৃতা সিনহার। আদালতের মতে, তাঁকে তদন্তের প্রয়োজনে বা বক্তব্য নথিভুক্ত করতে হেফাজতে রাখার প্রয়োজন নেই। আদালতের অনুমতি ছাড়া তাঁর বিরুদ্ধে পুলিশ কোনও কড়া পদক্ষেপ নিতে পারবে না।
গত ২৭ আগস্ট, নবান্ন অভিযানের ডাক দিয়েছিল ‘পশ্চিমবঙ্গ ছাত্রসমাজ’ নামে তথাকথিত অরাজনৈতিক সংগঠন। তবে তাদের নেপথ্যে বিজেপি-আরএসএস যোগ স্পষ্ট। পুলিশের অনুমতি ছাড়া এই কর্মসূচির আড়ালে রাজ্যকে অশান্ত করার ছক রয়েছে বলে গোয়েন্দা সূত্রে খবর ছিল। তাই পুলিশ অশান্তি এড়াতে সর্বোচ্চ সতর্কতা গ্রহণ করে। ট্রাফিক সমস্যা এড়াতে বিশেষ পরিকল্পনা ছিল লালবাজারের।
[আরও পড়ুন: ‘কেন হেফাজতে নেননি সন্দীপ ঘোষকে?’ সায়নের মামলায় প্রশ্ন হাই কোর্টের]
তবে তা সত্ত্বেও সেদিন দিকে দিকে অশান্তির ঘটনা ঘটে। ওইদিন বেলা বাড়তেই বদলে যায় সাঁতরাগাছি, ফোরশোর রোড, হাওড়া ব্রিজের চেহারা। প্রথমে সাঁতরাছিতে ব্যারিকেড ভাঙতে শুরু করেন আন্দোলনকারীরা। বেশ কয়েকটি ব্যারিকেড ভেঙেও ফেলেন তাঁরা। মিছিলকারীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট, পাথর ছোড়ে। পরিস্থিতি সামাল দিতে পালটা লাঠিচার্জ করে পুলিশ। কাঁদানে গ্যাসের শেলও ফাটানো হয়। হাওড়া ব্রিজে আন্দোলনকারীদের হঠাতে জলকামান কাজে লাগানো হয়। হাওড়া ও সাঁতরাগাছি স্টেশন চত্বরেও আন্দোলনকারীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট-পাথর ছুঁড়তে শুরু করে।
পরিস্থিতি সামাল দিতে ফের কাঁদানে গ্যাস ছোড়ে পুলিশ। ইটবৃষ্টিতে বেশ কয়েকজন পুলিশকর্মী জখমও হন। ওইদিন সন্ধেয় একটি টিভি স্টুডিওর টক শো-তে অংশ নিতে দেখা গিয়েছিল তাঁকে। টিভি স্টুডিও থেকে বেরতেই রাতে গ্রেপ্তার হন সায়ন লাহিড়ী। বর্তমানে পুলিশ হেফাজতে রয়েছেন তিনি। শুক্রবার জেলমুক্তির দাবিতে কলকাতা হাই কোর্টের দ্বারস্থ হন সায়ন। দীর্ঘ সওয়াল জবাবের পর তাঁকে জেলমুক্তির নির্দেশ দেন বিচারপতি অমৃতা সিনহা।