রুপায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়: বিজেপির রাজ্য সভাপতি বিতর্কে মুখ খুললেন সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। নতুন রাজ্য সভাপতি নিয়ে নানা চর্চা চলছে দলের মধ্যে। অনেকের নাম উঠে আসছে। আবার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে রাজ্য সভাপতি করার পক্ষে সওয়াল করেছেন তথাগত রায় থেকে অর্জুন সিংরা। এই পরিস্থিতিতে বুধবার বঙ্গ বিজেপির বর্তমান রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের বক্তব্য, "দলের প্রতি প্রত্যেকের দায়বদ্ধতা থাকা উচিত। বিজেপির প্রতি সুকান্ত মজুমদারের দায়বদ্ধতা আছে। সাংসদ থাকলে এবং না থাকলেও সুকান্ত বিজেপিরই। যদি একজন সাংসদও বিজেপির না থাকে, এটা যদিও হবে না। তবুও কথার কথা বলছি, সুকান্ত তখনও বিজেপিই থাকবে।"
দলের প্রতি দায়বদ্ধতার কথা মনে করিয়ে দিয়ে সুকান্তর এই মন্তব্যের নিশানায় বিজেপির কারা তা নিয়ে চর্চা শুরু হয়ে গিয়েছে পদ্ম শিবিরে। অন্যদিকে, প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী প্রয়াত অটলবিহারী বাজপেয়ীর জন্মদিনে দলীয় কর্মসূচি থেকে রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের দাবি, "বিজেপিই আনতে পারবে সুশাসন। ছাব্বিশে বাংলায় বিজেপি সরকার তৈরি হবে। আমরা অপেক্ষা করছি পশ্চিমবঙ্গে কবে সুশাসন আসবে।" সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে সুকান্তর এই সুশাসনের মন্তব্যের পালটা মুখ খুলেছেন তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ। সুকান্তকে স্মরণ করিয়ে দিয়ে কুণাল বলেন, "শ্রেষ্ঠ রাজ্য সরকার হচ্ছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বাধীন পশ্চিমবঙ্গ সরকার। সুকান্ত মনে রাখবেন অটলবিহারী বাজপেয়ীর নাম যতবার উচ্চারন করবেন ততবার একইসঙ্গে উচ্চারণ করবেন বাজপেয়ী গুজরাতে গিয়ে সেখানকার তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে নির্দেশ দিয়েছিলেন রাজধর্ম পালন করতে, যে মোদি রাজধর্ম পালন করতেন না তাঁকে রাজধর্ম শেখাতে হয়েছিল বাজপেয়ীকে।"
কুণালের দাবি, "এখন পশ্চিমবঙ্গে উন্নয়ন বেশি হচ্ছে অন্য রাজ্যের তুলনায়। উন্নয়নের ক্ষেত্রে বিভিন্ন মাপকাঠিতে পশ্চিমবঙ্গ এগিয়ে।" বুধবার সকালে বিজেপির সল্টলেক পার্টি অফিসে অটলবিহারী বাজপেয়ীর ১০০তম জন্মদিবস উপলক্ষে একটি অনুষ্ঠানে ছিলেন সুকান্ত মজুমদার, রাহুল সিনহারা। এদিন রাজ্যজুড়েই বিভিন্ন সেবামূলক কর্মসূচির মাধ্যমে সুশাসন দিবস পালন করে বিজেপি।