সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ব্রাত্য বসুর দপ্তরকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। ২০১২ সালের প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগে পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় কারচুপির অভিযোগ উঠেছিল। ২০১৬ সালে তা খতিয়ে দেখার নির্দেশ দিয়েছিল হাই কোর্ট (Calcutta High Court)। কিন্তু সাড়ে ছ’বছর পেরিয়ে গেলেও সেই তদন্ত এখনও শেষ হয়নি। সেই মামলাতেই রাজ্যের শিক্ষাদপ্তরকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করলেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। কোথা থেকে এই জরিমানার টাকা জোগার করবে তারও হদিশ দিয়েছে আদালত।
২০১২ সালে পূর্ব মেদিনীপুরে প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়ায় কারচুপির অভিযোগ উঠেছিল। স্বজনপোষণের মাধ্যমে অনেকে চাকরি পেয়েছিলেন বলে অভিযোগ উঠেছিল। সেই অভিযোগের জল গড়িয়েছিল কলকাতা হাই কোর্টে। ২০১৬ সালে দপ্তরের মুখ্য সচিবকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিল হাই কোর্ট। তারপর কেটে গিয়েছে প্রায় ছ’বছর। কিন্তু তদন্ত শুরু হয়নি।
[আরও পড়ুন: ফের বগটুই গ্রামে আগুন, তৃণমূল সমর্থকের বাড়িতে অগ্নিসংযোগের ঘটনায় ফিরল আতঙ্ক]
কলকাতা হাই কোর্টে নতুন করে মামলা দায়ের হয়। মামলাকারীর আইনজীবীর আরজি, ২০১২ সালে পূর্ব মেদিনীপুরে যারা স্বজনপোষণের মাধ্যমে চাকরি পেয়েছিলেন তাঁদের নিয়োগ বাতিল করতে হবে। গোটা নিয়োগ প্রক্রিয়া নিয়ে তদন্তের আরজি জানিয়েছেন তাঁরা। আদালতের নির্দেশ অমান্য করায় শিক্ষাদপ্তরকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। আগামী ১০ দিনের মধ্যে আদালতের ‘লিগ্যাল সার্ভিস এইডে’ টাকা জমার নির্দেশ দিয়েছেন। একইসঙ্গে আগামী ৬ সপ্তাহের মধ্যে তদন্তে শেষ করে রিপোর্ট জমা করতে হবে দপ্তরের প্রিন্সিপাল সেক্রেটারিকে।
বিচারপতির পর্যবেক্ষণ, প্রিন্সিপাল সেক্রেটারির যদি সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা না থাকে তাহলে তাঁর পদত্যাগ করা উচিত। পাশাপাশি, তদন্তে যাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতি প্রমাণ হবে, তাঁদের থেকে জরিমানা নেওয়া হবে।