অর্ণব আইচ: ব্যাঙ্ক জালিয়াতির অভিযোগে গ্রেপ্তার ইস্পাত সংস্থার কর্ণধার। মঙ্গলবার সকাল থেকে রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা হানা দিয়েছিল। কলকাতার গড়িয়াহাট, দমদম ক্যান্টনমেন্ট, হাওড়া, হুগলিতে একযোগে চলেছিল তল্লাশি অভিযান। একাধিক তথ্য, নথি উদ্ধার হয়েছে। সেই তদন্তেই বুধবার ইস্পাত সংস্থার কর্ণধারকে গ্রেপ্তার করা হল।
২০২২ সাল থেকে ওই ব্যাঙ্ক জালিয়াতি মামলার তদন্ত চলছে। তিন হাজার কোটি টাকার উপর ব্যাঙ্ক জালিয়াতির ঘটনা এখনও অবধি সামনে এসেছে। সেই তদন্তেই কলকাতা থেকে গ্রেপ্তার হওয়া ওই কর্ণধারকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। এমন কথাই জানিয়েছেন ইডির আধিকারিকরা। আর কোনও প্রভাবশালী ব্যক্তি এই প্রতারণার কাজে জড়িয়ে আছে কি না, তাও জানার চেষ্টা চলছে। জানা গিয়েছে, গতকাল ওই কর্ণধারের বাড়ি, অফিসে ইডি আধিকারিকরা তল্লাশি চালান। বিভিন্ন বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদও চলে। বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ নথি ইডি উদ্ধার করেছে। একাধিক বিষয়ে অসঙ্গতি ধরা পড়েছিল। তারপরেই ওই কর্ণধারকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে খবর।
ইডির প্রাথমিক অনুমান, বিপুল পরিমাণ টাকা সরিয়ে ফেলা হয়েছিল শেল কোম্পানি ও সংস্থার মাধ্যমে। এছাড়াও টাকা বিদেশে পাচার হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনার কথাও উড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে না। তদন্তে জাল আরও বিস্তার করা হবে। সেই কথাও জানা যাচ্ছে ইডি সূত্রে। গতকাল হুগলির বৈদ্যবাটি চ্যাটার্জিপাড়ায় একটি বাড়িতে হানা দেয় এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের একটি তদন্তকারী দল। কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানদের নিয়ে দুটি গাড়িতে করে চারজন ইডি আধিকারিক পৌঁছন। এদিকে দমদম ক্যান্টনমেন্টের গোরাবাজার এলাকাতেও ইডি আধিকারিকরা হানা দেন। এসপি মুখার্জি রোডে ইডি হানা দেয়। ওই এলাকার এক ব্যবসায়ী আর্থিক প্রতারণার সঙ্গে যুক্ত বলে অভিযোগ। ওই ব্যবসায়ী রাষ্ট্রায়ত্ত্ব ব্যাঙ্ক থেকে মোটা টাকা ঋণ নিলেও তা শোধ করেননি। কলকাতার গড়িয়াহাট এলাকাতেও ইডির আধিকারিকরা হানা দেন। হাওড়ার বেলুড় এলাকার এক বাড়িতেও এই তল্লাশি অভিযান চলে বলে খবর।