গোবিন্দ রায়: শহীদ মিনারে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Abhishek Banerjee) সভায় অবশেষে শর্তসাপেক্ষে ছাড়পত্র দিলেন বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা। কলকাতা হাই কোর্টের নির্দেশ, সিসিটিভি দিয়ে মুড়ে ফেলতে হবে সমস্ত গুরুত্বপূর্ণ জায়গা। নিশ্চিত করতে হবে পর্যাপ্ত পুলিশি নিরাপত্তা। বিচারপতির মন্তব্য, “পুলিশ কমিশনারকে মাথায় রাখতে হবে, ভবিষ্যতে যেন এক জায়গায় দুটি কর্মসূচির অনুমতি না দেওয়া হয়। কলকাতায় আরও অনেক বড় জায়গা রয়েছে। ট্র্যাফিক সামলাতে পারলে রেড রোডে অনুমতি দিয়ে দিন। আরও প্রচার পাবে।”
নানা জটিলতার মাঝে শহীদ মিনারে যুব তৃণমূলের সভার অনুমতি দিয়েছে সেনা। সভার আগের দিন অর্থাৎ মঙ্গলবার তার বিরোধিতা করে হাই কোর্টের দ্বারস্থ হন ডিএ (DA)আন্দোলনকারীরা। তাঁদের দাবি, কেন্দ্রীয় হারে ডিএ দেওয়ার দাবিতে শহিদ মিনারে তাঁদের অবস্থান বিক্ষোভ চলছে। এই অবস্থায় কীভাবে সেখানে অভিষেকের সভা হবে? সেই মামলায় বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা শর্তসাপেক্ষে সভার অনুমতি দিলেন। বিচারপতি বলেন, “আদালত প্রত্যাশা করে তৃণমূল ছাত্রযুবর তরফে অশান্তির উস্কানি দেওয়া হবে না। যদি এরকম হয় তার ফল ভাল হবে না।” বিচারপতির সাফ বার্তা, সভা থেকে কোনও উস্কানিমূলক বক্তব্য পেশ করা যাবে না। শান্তিপূর্নভাবে কর্মসূচি পালন করতে হবে। সভার পর সভাস্থল পরিষ্কার করতে হবে। সব পক্ষকে শান্তি বজায় রাখতে হবে। সভা হয়ে গেলে ব্যারিকেড খুলে ফেলতে হবে।
[আরও পড়ুন: ‘করে দিতে হবে’, এবার প্রকাশ্যে সুজনের ‘সুপারিশ’, ‘এটাই চিরকুট’ খোঁচা কুণালের]
শহিদ মিনারে বকেয়া ডিএ’র দাবিতে সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ বা বারবার হুমকির সম্মুখীন হয়েছে। বোম মেরে উড়িয়ে দেওয়ার হুমকি এসেছে। নওশাদ সিদ্দিকীকে হেনস্থা করা হয়েছে। এবার মঞ্চ উঠিয়ে দেওয়ার পরিকল্পনা নিয়ে একই জায়গায় তৃণমূল ছাত্র পরিষদকে সভার অনুমতি দেওয়া হয়েছে, শুনানিতে এমনটাই সওয়াল বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্যের। রাজ্যের তরফে আইনজীবী বলেন, “পুলিশ এবং সেনা খতিয়ে দেখে অনুমতি দিয়েছে। সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের অবস্থানস্থল ব্যারিকেড দিয়ে ঘিরে দেওয়া হবে। বাঁশ এবং টিন দিয়ে ব্যারিকেড করা হবে। সংগ্রামী মঞ্চের দিকে কেউ ঢুকতে পারবেন না। আইনশৃঙ্খলা রক্ষার দায়িত্ব রাজ্যের। কিছু হলে পুলিশ নিয়ন্ত্রণ করতে পারবে।”
বিচারপতির প্রশ্ন, “অন্যত্র কি এই সভা করা যায় না? ঘটনা ঘটলে নিয়ন্ত্রণ করার কী দরকার? আগে থেকেই তো প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা যায়। অযথা সমস্যা তৈরি করার কী দরকার? কলকাতায় কি আর কোনও জায়গা নেই?” TMCP’র আবেদন জমা পরার পরে পুলিশ কী তাদের জিজ্ঞাসা করেছিল যে অন্য কোথাও এই সভা করা সম্ভব কিনা, সেই প্রশ্নও করেন বিচারপতি।