গোবিন্দ রায়: এসএসসি গ্রুপ ডি নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় আরও কঠোর কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু। “কাদা সরিয়ে জল স্বচ্ছ করুন”, সিবিআইয়ের সিটের নবনিযুক্ত প্রধান অশ্বিন শেনভিকে এমনই নির্দেশ দিলেন তিনি। খুব শীঘ্রই বিচারব্যবস্থা তার লক্ষ্যসীমায় পৌঁছবে বলেও আশাবাদী বিচারপতি।
গ্রুপ ডি’র দুর্নীতি সংক্রান্ত একটি মামলায় সিবিআইয়ের সিটের নবনিযুক্ত প্রধান অশ্বিন শেনভিকে তলব করেন বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু। সেই অনুযায়ী সোমবার সিট প্রধান হাই কোর্টে হাজিরা দেন। শুনানি চলাকালীন সিট প্রধান বলেন, “গত বছরের নভেম্বর থেকে শুধুমাত্র র্যাঙ্কিং নিয়ে ওঠা অভিযোগের তদন্ত শুরু হয়েছিল। কিন্তু গাজিয়াবাদ থেকে হার্ড ডিস্ক উদ্ধার হওয়ার পর ওএমআর শিটের বিষয়টি সামনে আসে। আমরা সব নথি এসএসসিকে দিয়েছি। এখন তাদের ঠিক করতে হবে যে তারা কীভাবে এই ত্রুটি সংশোধন করবে। মূল প্যানেল থেকে ওয়েটিং লিস্ট, সর্বত্র দুর্নীতি হয়েছে। এখনও পর্যন্ত প্রায় ২১ হাজার পদে দুর্নীতি হয়েছে। তার মধ্যে ৯ হাজার ওএমআর শিট (OMR Sheet) বিকৃত করা হয়েছে।”
[আরও পড়ুন: ‘মানি, গুনস অ্যান্ড গানস ফর বিজেপি’, জলপাইগুড়িতে বিপুল টাকা উদ্ধারে দাবি মুখ্যমন্ত্রীর]
পালটা বিচারপতি বলেন, “সিটের যা সাহায্য লাগবে আদালতে এসে জানাবেন। আদালত সবরকম সাহায্য করবে। এই দুর্নীতির শেষ দেখা দরকার। যারা এই দুর্নীতিতে যুক্ত তাদের কাউকে ছাড়া হবে না। যে যোগ্য প্রার্থীরা বঞ্চিত হয়েছেন তাঁরা শুধু ফলাফলের আশায় বসে আছেন। তাঁরা জানতে চান না সিবিআই কী করল, স্কুল সার্ভিস কমিশন কী করল। তারা চায় নিয়োগপত্র। এই দুর্নীতির তদন্ত, বিচার অনেকটা পথ পেরিয়ে এসেছে। বিচার তার লক্ষ্যসীমার কাছে পৌঁছে গিয়েছে। কাদা সরিয়ে জলটাকে স্বচ্ছ করুন।”
নিয়োগের পাশাপাশি বদলির দুর্নীতি নিয়েও এদিন সরব হন বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু। ঝালদার এক স্কুলে বদলি সংক্রান্ত মামলায় বিচারপতি মন্তব্য করেন, “ছাত্রছাত্রীদের ভবিষ্যৎ নিয়ে চিন্তা করতে হবে। এখন দেখছি বদলিতেও দুর্নীতি! এটা খুবই খারাপ ইঙ্গিত দিচ্ছে।”