shono
Advertisement

সন্দেশখালি মামলায় পুলিশের ভূমিকায় ক্ষুব্ধ হাই কোর্ট, দ্রুত গ্রেপ্তারের নির্দেশ বিচারপতির

অভিযুক্ত তিনহাজার, গ্রেপ্তার মাত্র চারজন কেন? এই প্রশ্ন তুললেন বিচারপতি।
Posted: 02:45 PM Jan 15, 2024Updated: 05:07 PM Jan 15, 2024

গোবিন্দ রায়: সন্দেশখালি কাণ্ডে ইডির করা মামলায় পুলিশকে ভর্ৎসনা হাই কোর্টের। অভিযুক্ত তিনহাজার, গ্রেপ্তার মাত্র চারজন কেন? এই প্রশ্ন তুললেন বিচারপতি। সৎ বিচারের ইচ্ছে থাকলে দ্রুত অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারের নির্দেশ আদালতের। রাজ্যের তরফে জানানো হয়, তিনহাজার নয়, অভিযুক্ত ৮০০ থেকে একহাজার।

Advertisement

এদিন কেস ডাইরি না আনায় প্রথমেই হাই কোর্টের ক্ষোভের মুখে পড়ে পুলিশ। এমন মামলায় কেস ডাইরি না দেখে কোনও অর্ডার দেওয়া যায় না, এমনই মন্তব্য করেন বিচারপতি। আগামিকাল কেস ডাইরি আনার নির্দেশ দেওয়া হয়। গ্রেপ্তারি নিয়ে উষ্মাপ্রকাশ করেন বিচারপতি। এজিকে উদ্দেশ্য করে বলেন, সৎভাবে বিচারের ইচ্ছে থাকলে অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার করুন। এদিন আদালতে ইডির আইনজীবী জানান, শংকর আঢ্য ও শেখ শাহজাহানের নাম পাওয়া যায় জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের সূত্রে। সেখানে তাল্লাশিতে গেলে হামলা হয় ইডি অফিসারদের বিরুদ্ধে। উলটে ইডি অফিসারদের বিরুদ্ধে FIR হয়। এই গোটা ঘটনার তদন্ত সিবিআইকে দেওয়ার আবেদন জানানো হয়।

[আরও পড়ুন: জনতার সাহায্য করা দরকার, সেনা সরাতে মালদ্বীপের চাপের মুখেও মানবদরদি ভারত]

রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল এদিন জানান, মোট চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এর পর আদালত প্রশ্ন করে, এখন কে তদন্ত করছে? অ্যাডভোকেট জেনারেল কিশোর দত্ত জানান, লোকাল পুলিশ তদন্ত করছে ডিএসপি’র নেতৃত্বে। বিচারপতি প্রশ্ন করেন, তিন হাজার অভিযুক্ত চার জন গ্রেপ্তার কেন? অ্যাডভোকেট জেনারেল জানান, তিনহাজার নয়, ৮০০ থেকে ১০০০ অভিযুক্ত। বিচারপতি পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। বলেন, ৩০৭ ধারা কেন যোগ হয়নি? এখনও কেন ন্যাজাট থানার পলিশকে তদন্তে রাখা হয়েছে? এতদিনেও মূল অভিযুক্ত গ্রেপ্তার হয়নি। ইডির অভিযোগ, ঘটনার সময় শাহজাহান বাড়িতে ছিল। সব ঘটনার পরে পুলিশ আদৌ সেই বাড়িতে ঢুকেছিল কিনা সেই প্রশ্নও তোলেন বিচারপতি।

[আরও পড়ুন: যুব ব্রিগেডের সাফল্য, সিপিএমে দলীয় সদস্যপদে অগ্রাধিকার পাবেন ৩১ বছরের কমবয়সিরা]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement