শুভঙ্কর বসু: গ্রুপ সি’র SLST নিয়োগ অর্থাৎ নবম ও দশম শ্রেণির শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিল কলকাতা হাই কোর্ট (Calcutta HC)। এই মামলায় শিক্ষাদপ্তরের ডেপুটি ডিরেক্টর ও সংশ্লিষ্ট জেলা স্কুল পরিদর্শকের তরফে সমস্ত নথিপত্র আদালতে পেশ করতে বলা হয়েছে আগামী ৭ মার্চের মধ্যে। আর সিবিআইকে (CBI) এসব তথ্য হস্তান্তরিত করতে হবে মার্চের শেষ সপ্তাহে। এমনই নির্দেশ দিয়েছে বিচারপতি অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়ের সিঙ্গল বেঞ্চ। সূত্রের খবর, নবম ও দশম শ্রেণির শিক্ষক নিয়োগ মামলায় তিনি বড় দুর্নীতির আঁচ পাচ্ছেন। সেই কারণেই সিবিআইয়ের হাতে তদন্তভার তুলে দিতে চান।
দিন কয়েক আগেই গ্রুপ ডি এবং গ্রুপ সি (Group-C) পদে একাধিক নিয়োগ বাতিলের নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাই কোর্ট। একই পথে হেঁটে গত সোমবার ৬ শিক্ষকের চাকরি বাতিল করার নির্দেশ দেয় বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের সিঙ্গল বেঞ্চ। অভিযোগ ছিল, বেশি নম্বর পাওয়া প্রার্থীকে বঞ্চিত করে ওই ছয় শিক্ষককে নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল। স্টেট লেভেল সিলেকশন টেস্ট বা এসএলএসটিতে (SLST) তাদের নিয়োগ করা হয়েছিল। এই বেআইনি নিয়োগের ক্ষেত্রে সরকারের যা খরচ হয়েছে তা পুনরুদ্ধার করারও নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি। অর্থাৎ ওই ছয় শিক্ষককে এতদিন বেতন বাবদ যে অর্থ দেওয়া হয়েছে তা পুনরুদ্ধার করার নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
[আরও পড়ুন: নয়াদিল্লির উপর ক্ষুব্ধ কিয়েভ, সীমান্তে ভারতীয় পড়ুয়াদের বাধা ইউক্রেনের সেনার]
পরে জানা গিয়েছে, মুর্শিদাবাদ জেলায় বিভিন্ন স্কুলে নবম-দশম শ্রেণির অঙ্কের শিক্ষক হিসেবে চাকরি পেয়েছিলেন ওই ৬ জন। পরে জানা যায়, তাঁরা পরীক্ষায় ফেল করা সত্ত্বেও শিক্ষক পদে নিয়োগ হয়েছিলেন। আর তাতেই নিয়োগ প্রক্রিয়ায় বড়সড় দুর্নীতি রয়েছে বলে মনে করছেন বিচারপতি অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই মামলায় স্কুল সার্ভিস কমিশনের (SSC) কাছে জবাব তলব করেছিল আদালত। কমিশনের তরফে জানানো হয়, নিয়োগ প্রক্রিয়ায় ভুল হয়েছিল, চাকরি বাতিল করতে হবে। এই নির্দেশ দেয় বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের বেঞ্চ।
[আরও পড়ুন: পাঁচতলা থেকে মরণঝাঁপ! রোগী মৃত্যুকে কেন্দ্র করে তীব্র চাঞ্চল্য আর জি কর হাসপাতালে]
সোমবার গোটা মামলার তদন্ত কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআইয়ের হাতে দেওয়ার নির্দেশ দেন বিচারপতি। সাতদিনের মধ্যে শিক্ষাদপ্তরের ডেপুটি ডিরেক্টর এবং মুর্শিদাবাদের ডিআই-কে ওই নিয়োগ সংক্রান্ত রিপোর্ট জমা দিতে বলেছে আদালত। ২৬ মার্চের মধ্যে সেসব তথ্য তুলে দিতে হবে সিবিআইকে।