গোবিন্দ রায়: এবার প্রাইমারি শিক্ষক (Primary TET) নিয়োগে দুর্নীতি মামলায় ‘বাগদার রঞ্জন’ ওরফে চন্দন মণ্ডলকে হাজিরার নির্দেশ দিল কলকাতা হাই কোর্ট। আগামী শুক্রবার তাঁকে কলকাতা হাই কোর্টে হাজির হতে হবে। মঙ্গলবার এমনই নির্দেশ দিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। পাশাপাশি নিয়োগ সুপারিশ কমিটির দুই সদস্যকেও হাজিরার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি।
রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী উপেন বিশ্বাসের এক ফেসবুক ভিডিওতে ‘বাগদার রঞ্জনে’র নাম উঠে আসে। শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় নাম জড়ায় তাঁর। অভিযোগ, টাকার বিনিময়ে শিক্ষক পদের চাকরি বিক্রি করত বাগদার রঞ্জন ওরফে চন্দন মণ্ডল। তাঁকে খুঁজে বের করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল সিবিআইকে। কিন্তু কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা এখনও তাঁর খোঁজ পায়নি। এবার সরাসরি সেই রঞ্জনকে আদালতে হাজিরার নির্দেশ দিল কলকাতা হাই কোর্ট।
[আরও পড়ুন: সম্পত্তি হাতছাড়া হওয়ার আশঙ্কা! বিবাহ বিচ্ছেদ আটকাতে স্ত্রীকে ‘অপহরণ’ স্বামীর]
নিয়োগ দুর্নীতি প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যের সম্পত্তির দিকে নজর রয়েছে হাই কোর্টের। এদিন তাঁর হলফনামা জমা দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু আজ সেই হলফমানা জমা করেননি তিনি। আরও একদিন সময় চেয়েছেন। আগামিকাল অর্থাৎ বুধবার আদালতে হলফনামা জমা করতে পারেন মানিক ভট্টাচার্য। এই মামলায় সুপারিশ কমিটির দুই সদস্য পঞ্চানন রায় ও দেবজ্যোতি ঘোষকে আদালতে আসার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি। সদস্যের আরেক সদস্য সিস্টার এমিলিয়ার বয়স ৮৫ বছর, তাই হাজিরার বদলে তিনি হলফনামা জমা করলেই চলবে বলে জানিয়েছে আদালত।
প্রসঙ্গত, প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতি নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় সরব হওয়া অনগ্রসর শ্রেণি কল্যাণদপ্তরের প্রাক্তন মন্ত্রী উপেনের ফেসবুক পোস্টটি আদালতের নজরে আনেন মামলাকারীর আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য। যেখানে মন্ত্রী উপেন সরাসরি চন্দন মণ্ডলের নাম উল্লেখ না করলেও, জনৈক ‘বাগদার রঞ্জন’এই দুর্নীতির হোতা বলে উল্লেখ করেছিলেন। এর পরই রাজ্যজুড়ে চর্চার কেন্দ্রবিন্দুতে ‘রঞ্জন’। এবার তাকে আদালতে হাজিরার নির্দেশ দিলেন বিচারপতি।