রাহুল রায় ও সুমিত বিশ্বাস: আজ নয়, নিয়ম মেনে ২১ নভেম্বরই হবে ঝালদা পুরসভার (Jhalda Municipality) আস্থা ভোট। নির্দেশ কলকাতা হাইকোর্টের। তিন বিরোধী কাউন্সিলরের ৪ নভেম্বরে জারি করা নোটিশ খারিজ করলেন বিচারপতি অমৃতা সিনহা। হাই কোর্টের নির্দেশে খুশি শাসকদল।
১৩ অক্টোবর ঝালদার তৃণমূল পুরপ্রধানের বিরুদ্ধে অনাস্থা আনেন কংগ্রেসের পাঁচ ও নির্দলের এক কাউন্সিলর অর্থাৎ মোট সাতজন। এর ১৫ দিনের মধ্যে তলবি সভা ডাকেননি। ফলে উপ-পুরপ্রধান তাঁর সময়সীমার একেবারে শেষের দিকে ২১ নভেম্বর তলবি সভা ডাকেন। কিন্তু সেই সভা বৈধ নয় বলে দাবি করেন অনাস্থা আনা কাউন্সিলররা। পালটা তাঁরাও তলবি সভা ডাকেন। দু’পক্ষই তলবি সভা ডাকার ঘটনায় প্রশাসন চুপ থাকায় শাসক ও বিরোধীদের বিবাদ গড়ায় আদালতে। বিরোধী কাউন্সিলরদের জারি করা নোটিস খারিজের আবেদন জানিয়ে কলকাতা হাই কোর্টের দ্বারস্থ হন ঝালদা পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান সুদীপ কর্মকার।
[আরও পড়ুন: সাফল্যের নাম ‘পিয়াসা’, NET’এ ৯৯.৩১% নম্বর পেয়ে তাক লাগালেন বিশেষভাবে সক্ষম ছাত্রী!]
সেই মামলায় আজ নির্বাচনে স্থগিতাদেশ দিয়েছে আদালত। অর্থাৎ সোমবার হচ্ছে না ঝালদা পুরসভার আস্থা ভোট। তিন বিরোধী কাউন্সিলরের জারি করা নোটিস খারিজ করে বিচারপতি অমৃতা সিনহা জানিয়েছেন, ভোট হবে ২১ নভেম্বরই। অর্থাৎ ঝালদা পুরসভার আস্থা ভোট সংক্রান্ত মামলায় ধাক্কা খেয়েছে বিরোধীরা। যাতে স্বাভাবিকভাবেই খুশি শাসকশিবির।
প্রসঙ্গত, ২০১৮ সালে পুরপ্রধান সুরেশ আগরওয়ালের বিরুদ্ধে অনাস্থা এসেছিল। সেই সময় এই অনাস্থা সংক্রান্ত বিবাদের নিষ্পত্তি হয়েছিল আদালতের নির্দেশেই। সেই সময় অনাস্থা আনা কাউন্সিলরদের ডাকা তলবি সভার দিন পুর ভবন বন্ধ রাখা হয়। খোলা বারান্দায় তাদের তলবি সভা হয়েছিল। কিন্তু সেই সভাকে মান্যতা দিতে চায়নি পুরসভা। তাই সংখ্যাগরিষ্ঠ কাউন্সিলররা কলকাতা হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন। পরে হাই কোর্টের নির্দেশেই চেয়ার ছাড়তে হয় ওই সময়কার পুরপ্রধান সুরেশ আগরওয়ালকে।