shono
Advertisement

তদন্ত ফল শূন্য! লিপস অ্যান্ড বাউন্ডস মামলায় ইডি-সিবিআইকে ভর্ৎসনা বিচারপতি সিনহার

অভিষেককে বদনাম করার চেষ্টা! দাবি তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদকের।
Posted: 06:59 PM Sep 25, 2023Updated: 07:22 PM Sep 25, 2023

গোবিন্দ রায়: ১৮ মাস ধরে চলছে তদন্ত কিন্তু ফলাফল শূন্য! লিপস অ্যান্ড বাউন্ডস মামলায় ইডি-সিবিআইকে ভর্ৎসনা বিচারপতি অমৃতা সিনহার। রিপোর্টে সংস্থার ডিরেক্টর ও কর্ণধারদের তথ্যের খতিয়ান অসম্পূর্ণ বলে জানিয়েছেন বিচারপতি। তাঁর পর্যবেক্ষেণ, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Abhishek Banerjee) ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের কোনও উল্লেখ নেই রিপোর্টে। নেই তৃণমূল সাংসদের নামে থাকা জমির বিশদ বিবরণও। শুধু অভিষেক নন, সংস্থার ৬ ডিরেক্টেরের সম্পত্তির বিশদ তথ্য নেই ইডির রিপোর্টে। ভরা এজলাসে সেই রিপোর্ট দেখে উষ্মা প্রকাশ করেন বিচারপতি সিনহা। একইসঙ্গে বিশদ তথ্য জমা করার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। মামলার পরবর্তী শুনানি ২৯ সেপ্টেম্বর।

Advertisement

কালীঘাটের কাকু সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র চাকরি করতেন লিপস অ্যান্ড বাউন্ডস সংস্থায়। সেই কোম্পানির সিইও তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। দুর্নীতির মামলায় সংস্থা ও তার কর্ণধার এবং ডিরেক্টরদের সম্পত্তির বিস্তারিত খতিয়ান দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি সিনহা। এদিন এজলাসে সেই রিপোর্ট দেখে স্তম্ভিত হয়ে যান বিচারপতি। তাঁর প্রশ্ন, সাংসদের মাত্র তিনটি বিমা ছাড়া কিছু নেই, কীভাবে? ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের ডিটেলস নেই? সাংসদের বেতন পান কীভাবে? বিচারপতির আরও প্রশ্ন, অভিষেকের বাড়ির ঠিকানা জানে না ইডি? ১৮৮-এ হরিশ মুখার্জি রোডে কার নামে বাড়ি রয়েছে?

[আরও পড়ুন: আচমকাই আমেরিকা সফর বাতিল রাজ্যপালের, বিবৃতি দিয়ে কী জানাল রাজভবন?]

রিপোর্টে অভিষেকের জমির উল্লেখ থাকলেও সেই জমি কোথায় রয়েছে, তার দাম কত, কোনও কিছুই রিপোর্টে বিস্তারিত উল্লেখ নেই বলেই জানিয়েছেন বিচারপতি সিনহা। তদন্তকারীরা নথির সত্যতা যাচাই করেনি বলেও দাবি বিচারপতি। এদিন এজলাসে বিচারপতি সিনহার একের পর এক কড়া প্রশ্ন মুখে পড়তে হয় ইডিকে। তাঁর কথায়, “আপনারা কি সঠিকভাবে তদন্ত করবেন না?” এরপরই বিশদ রিপোর্ট তলব করেন বিচারপতি সিনহা।

ভরা এজলাসে বারবার অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে বদনাম করার চেষ্টা করা হচ্ছে। এমনই দাবি করেছেন তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ। তাঁর কথায়, “অভিষেক তো কোনও তথ্য গোপন করেনি। কোন তথ্য় ইডি টাইপ করেছে, কোন তথ্য বিচারপতি দেখতে পাননি, সেটা অন্য ব্যাপার। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা অভিষেকের বিরুদ্ধে কোনও প্রমাণ পাচ্ছে না। চিত্রনাট্য তৈরি করে অভিষেককে বদনাম করার চেষ্টা চলছে।”

[আরও পড়ুন: সোশাল মিডিয়ায় বন্ধুত্বের ফাঁদ, চিকিৎসককে ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেপ্তার তথ্য-প্রযুক্তি কর্মী]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement