গোবিন্দ রায়: অস্থায়ী মহিলা কর্মীর শ্লীলতাহানির অভিযোগ ঘিরে রাজভবনের চাপ ক্রমশ বাড়ছে। আর অভিযোগ ঘিরে রাজ্যপালের সম্মানহানি ঘটছে বলে এবার তা নিয়ে জনস্বার্থ মামলা দায়েরের আবেদনে কলকাতা হাই কোর্টের দ্বারস্থ হলেন এক আইনজীবী। জরুরি ভিত্তিতে সেই মামলার শুনানিও চান আবেদনকারী। কিন্তু তাতে নারাজ হাই কোর্ট। 'এই নিয়ে জনস্বার্থ মামলা হয় না', এই মন্তব্য করে আইনজীবীর জরুরি ভিত্তিতে মামলার শুনানির আবেদন ফিরিয়ে দিয়েছে প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানমের বেঞ্চ। আগামী বৃহস্পতিবার মামলার শুনানি হতে পারে।
রাজ্যপালের বিরুদ্ধে রাজভবনেরই (Rajbhaban) মহিলা কর্মীর শ্লীলতাহানির অভিযোগ ঘিরে এই মুহূর্তে তোলপাড় রাজ্য। সর্বোচ্চ সাংবিধানিক পদ ঘিরে এমন অভিযোগ একেবারেই কাম্য নয়। আর সেই কারণেই এনিয়ে যথেষ্ট সমালোচনা শুরু হয়েছে। এর নেপথ্যে রাজনৈতিক অভিসন্ধি রয়েছে বলে পালটা অভিযোগ রাজভবনের। আর রাজভবনের তিরে রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল (TMC)। বৃহস্পতিবার ঘটনার দিনের সিসিটিভি ফুটেজ (CCTV Footage) প্রকাশ করা হয়েছে রাজভবনের তরফে। ১ ঘণ্টা ৯ মিনিটের সেই ফুটেজে অভিযোগকারিণীকে দেখা গেলেও রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসকে (CV Anand Bose) কোথাও দেখা যায়নি। রাজভবনের অন্দরের কোনও ফুটেজ প্রকাশ্যে আসেনি।
[আরও পড়ুন: নিজে হাতে সৃজিতের ছবি এঁকে পাঠালেন চঞ্চল চৌধুরী, পর্দার ‘মৃণালে’র শিল্পীসত্ত্বায় মুগ্ধ পরিচালক]
এই পরিস্থিতিতে শ্লীলতাহানি ইস্যুতে রাজ্যপালের পাশে দাঁড়িয়ে কলকাতা হাই কোর্টের (Calcutta HC) দ্বারস্থ হন আইনজীবী তীর্থঙ্কর দে। প্রধান বিচারপতির বেঞ্চে একটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের করে তাঁর অভিযোগ, রাজ্যপাল নিয়ে পুলিশ বিভিন্ন মন্তব্য করছে। রাজ্যপালের নিজস্ব রক্ষাকবচ রয়েছে। তার পরেও তাঁর সম্মানহানি হচ্ছে। আইনজীবীর আবেদন, কোনও অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়া পর্যন্ত রাজনৈতিক নেতাদের রাজ্যপালের বিরুদ্ধে বিরূপ মন্তব্য করা থেকে বিরত থাকার নির্দেশ দিক আদালত। সেই মামলা গ্রহণ করলেও জরুরি ভিত্তিতে শুনানির আবেদন প্রত্যাখ্যান করেছে উচ্চ আদালত। প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম ও বিচারপতি হিরণ্ময় ভট্টাচার্যের বেঞ্চ জানিয়েছে, আগামী বৃহস্পতিবার মামলার শুনানি হতে পারে।