সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ১৪ বছর অতিক্রান্ত। দীর্ঘ সময় পেয়েও নোবেল চুরির কিনারা করতে পারেনি সিবিআই। এই নিয়ে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার উপর বেজায় ক্ষুব্ধ কলকাতা হাইকোর্ট। নোবেল চুরির তদন্তে সিবিআইকে তীব্র ভর্ৎসনা করল আদালত।
[নোবেল উদ্ধারে ‘ব্যর্থ’ সিবিআই, সিআইডি তদন্তের আর্জি জানিয়ে দায়ের জনস্বার্থ মামলা]
ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি রাকেশ তিওয়ারি ও বিচারপতি হরিশ ট্যান্ডনের ডিভিশন বেঞ্চ মঙ্গলবার এই সংক্রান্ত একটি জনস্বার্থ মামলার শুনানি শেষে এই নির্দেশ দেয়। রাজ্য গোয়েন্দা সংস্থা সিআইডি এই তদন্ত চালানোর জন্য ইতিমধ্যে আগ্রহ প্রকাশ করেছে। জনস্বার্থ মামলার আবেদনকারী অবিলম্বে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নোবেল চুরির তদন্ত সিআইডির হাতে তুলে দেওয়ার আবেদনও জানিয়েছেন হাই কোর্টের কাছে। এদিন মামলার শুনানিতে ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি সিবিআইয়ের আইনজীবীকে প্রশ্ন করেন, কেন চোদ্দ বছর পেরিয়ে গেলেও এখনও ফাইনাল রিপোর্ট জমা পড়ল না? কেন এখনও কোনও সূত্র খুঁজে পেল না সিবিআই? তাহলে কি নোবেল চুরি নিয়ে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দাদের কোনও মাথাব্যথা নেই? বিষয়টি দুর্ভাগ্যজনক বলেও মন্তব্য করেন প্রধান বিচারপতি। একইসঙ্গে তিনি বলেন, আপনারা না পারলে সিআইডির হাতে ছেড়ে দিন। ওরা তদন্তের দায়িত্ব নিতে চাইছে। এরপরই ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি সাত দিনের মধ্যে সিবিআইকে হলফনামা দেওয়ার নির্দেশ দেন।
[সুড়ঙ্গে কলসিবন্দি মোহর? চাঞ্চল্য জমিদার বাড়িতে]
২০০৪ সালের ২৫ মার্চ শান্তিনিকেতন থেকে চুরি গিয়েছিল নোবেল পদকটি৷ প্রথমে নোবেল উদ্ধারের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল বীরভূম জেলা পুলিশকে৷ কিন্তু তদন্তের গতি প্রকৃতি বিচার করে এমন অমূল্য সম্পদ খোঁজের নির্দেশ দেওয়া হয় সিবিআই-কে৷ কিন্তু সেখানেও নিট ফল শূন্য৷ নোবেল চুরির রহস্য উন্মোচনে ব্যর্থ হয় তারাও৷ সূত্রের অভাবে থমকে যায় তদন্ত৷ এমনকী ২০১০ সালে তদন্ত বন্ধও করে দেয় সিবিআই৷ সিবিআইয়ের এই ব্যর্থতার পর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কলকাতার পুলিশ কমিশনার রাজীব কুমারের নেতৃত্বে সিট গঠন করেন। কিন্তু সিবিআই আজ পর্যন্ত তদন্তভার হস্তান্তর করেনি। তবে হাজারো প্রচেষ্টাতেও কোনও এক সূত্র ধরে নির্দিষ্ট দিকে এগোতে পারেননি সিট-এর আধিকারিকরাও৷ তবে মুখ্যমন্ত্রীর বিশ্বাস সিআইডি দায়িত্ব নিলে ঠিক উদ্ধার করা যাবে রবি ঠাকুরের নোবেল পদক৷
The post নোবেল তদন্তে সিবিআইকে তীব্র ভর্ৎসনা আদালতের appeared first on Sangbad Pratidin.