রাহুল রায়: বাসন্তী ও মালদহ বিস্ফোরণ মামলায় আদৌ এনআইএ (NIA) তদন্তের প্রয়োজন আছে কি? সিদ্ধান্ত নেওয়ার দায়িত্ব কেন্দ্রের উপরই ছাড়ল আদালত। এদিকে রাজ্য পুলিশের তদন্তের রিপোর্ট ৩ দিনের মধ্যে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকে পেশের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
ঘটনার সূত্রপাত ২৮ মার্চ। ওইদিন বাসন্তীর ফুলমালঞ্চ এলাকার সর্দার পাড়ায় ঘটে বিস্ফোরণ। একটি বাড়ি উড়ে যায়। আতঙ্কিত হয়ে পড়েন আশপাশের মানুষজন। পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, বাড়িতে বোমা বাঁধার কাজ চলাকালীনই বিস্ফোরণ ঘটেছে। শুরু হয় তদন্ত। অন্যদিকে এপ্রিলে মালদহের মানিকচক থানার গোপালগঞ্জ থানার ফাঁড়ির গোপালনগর এলাকায় বিস্ফোরণ ঘটে। বল ভেবে খেলতে গিয়ে বোমা বিস্ফোরণে জখম হয় পাঁচ শিশু। এই ঘটনায় এনআইতদন্তের দাবিতে মামলা দায়ের হয়েছিল।
[আরও পড়ুন: কমিটি গঠনের নির্বাচনে তুমুল অশান্তি! অনিশ্চয়তার মুখে বাগবাজার সার্বজনীনের পুজো]
মঙ্গলবার সেই মামলার শুনানি ছিল হাই কোর্টে। সেখানেই আগামী তিনদিনের মধ্যে রাজ্যের যে সকল থানায় এই দুটি বিস্ফোরণ কাণ্ডের তদন্ত চলছে, সেখান থেকে যাবতীয় তথ্য স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকে পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তার জন্য সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হয়েছে তিনদিন। সেই নথি খতিয়ে দেখে এনআইএ তদন্তের সিদ্ধান্ত নেবে কেন্দ্র।
প্রসঙ্গত, এই বিস্ফোরণের ঘটনায় রাজনীতির রং লেগেছিল। মালদহের কালিয়াচকের ঘটনার তীব্র নিন্দা করেন রাজ্য বিজেপির কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক অমিত মালব্য (Amit Malviya)। অমিত মালব্যের টুইটের তীব্র বিরোধিতা করে ঘাসফুল শিবির। এই ঘটনা সংক্রান্ত তথ্যের খোঁজে জাতীয় শিশু সুরক্ষা কমিশন (NCPCR) রাজ্যের মুখ্যসচিবকেও তলব করেছিল।