গোবিন্দ রায়: শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে গ্রেপ্তার প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যর জামিন খারিজ। এখনই তাঁকে জামিন দিলে তদন্তে বড়সড় প্রভাব পড়তে পারে। এই যুক্তি দেখিয়ে মানিকের জামিনের বিরোধিতা করেন ইডির আইনজীবী। সওয়াল-জবাবের পর কলকাতা হাই কোর্টের (Calcutta HC)বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ জামিন খারিজ করে দেন।
দুর্নীতির শিকড় অনেক গভীরে। এখন জামিন দিলে তদন্তে প্রভাব পড়বে। প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন চেয়ারম্যান মানিক ভট্টাচার্যকে (Manik Bhattacharya) বৃহস্পতিবার হাই কোর্টে পেশ করে জামিনের বিরোধিতায় এমনই সব যুক্তি খাঁড়া করল ইডি (ED)। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আইনজীবীর সওয়াল, প্রাথমিক শিক্ষকদের চাকরি টাকার বিনিময়ে বিক্রি হয়েছে। এই দুর্নীতির গভীরতা অনেক। এখনই মানিক ভট্টাচার্যকে জামিন দিলে তদন্তে প্রভাব তো বটেই, সমাজেও প্রভাব পড়বে।
[আরও পড়ুন: ‘স্যর, আমাকে বাঁচতে দিন’, ভারচুয়াল শুনানিতে কাতর আর্জি জ্যোতিপ্রিয়র]
এদিকে, মানিক ভট্টাচার্য এদিন নিয়োগ দুর্নীতির সমস্ত দায় চাপিয়েছেন জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের। তাঁর যুক্তি, নিয়োগের প্যানেল তৈরি করার পর পর্ষদ তা পাঠিয়ে দেয় জেলার প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের কাছে। সেই অনুযায়ী নিয়োগ হতো। তাই যদি কোথাও কোনও অনিয়ম হয়, তবে সেটি প্রাথমিক শিক্ষা সংসদগুলির (DPSC) মাধ্যমেই হয়েছে। তাতে বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ প্রশ্ন তোলেন, পর্ষদ থেকে অনুমতি না নিলে জেলাস্তরে প্রাথমিক শিক্ষা সংসদ কীভাবে নিয়োগ করবে? তাতে মানিকের আইনজীবীর জবাব, প্রাথমিক শিক্ষা সংসদ যদি কোনও বেআইনি কাজ করে, তার দায় পর্ষদের উপর বর্তায় না। দুপক্ষের সওয়াল-জবাবের পর বিচারপতি মানিক ভট্টাচার্যর জামিনের আবেদন খারিজ করে দেন। অর্থাৎ তাঁকে এখনও জেল হেফাজতে থাকতে হবে।