অতুলচন্দ্র নাগ, ডোমকল: ফের স্থগিত হয়ে গেল রানিনগর ২ নম্বর পঞ্চায়েতের স্থায়ী সমিতির নির্বাচন। মঙ্গলবার ফের স্থগিতাদেশ দিল কলকাতা হাই কোর্ট (Calcutta High Court)। মামলার পরবর্তী শুনানি ২৯ সেপ্টেম্বর।
জানা গিয়েছে, ২৫ থেকে ২৭ সেপ্টেম্বর তিনদিনব্যাপী নব নির্বাচিত প্রধান, উপপ্রধানদের প্রশিক্ষণ শিবির চলছে কল্যাণীতে। আর প্রধানরা হলেন স্থায়ী সমিতি নির্বাচনের ভোটার। তাঁদের অনুপস্থিতিতে কী করে হবে নির্বাচন? মামলাকারীদের পক্ষ থেকে তোলা এই প্রশ্নের উত্তরে বিচারপতি পর্যবেক্ষণ করে বুধবারের নির্বাচন স্থগিত ঘোষনা করেন। মামলার পরবর্তী শুনানি ২৯ সেপ্টেম্বর। সেদিনই আবার স্থায়ী সমিতি নির্বাচনের দিন জানানো হতে পারে বলে আশা করা হচ্ছে।
[আরও পড়ুন: মানুষের সেবা করতে রাজনীতিতে, নিজের টোটো চালিয়েই শপথ নিতে গেলেন বিদ্যুৎ ও শিক্ষা কর্মাধ্যক্ষ]
এদিকে জানা গিয়েছে, গত সোমবারেই উচ্চ আদালত রানিনগর ২ নম্বর পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি কুদ্দুস আলির জামিন মঞ্জুর করেছে। এই অবস্থায় মঙ্গলবার দুপুরের দিকে কুদ্দুস আলির সঙ্গে লালবাগ উপ-সংশোধনাগারে দেখা করতে যান প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীররঞ্জন চৌধুরী। সেখানে কথা বলার পর সাংবাদিকদের জানান, “পুলিশ আর তৃণমূলের যৌথ ষড়যন্ত্রের শিকার কুদ্দুস আলি ও আমাদের লোকজন। মিথ্যা মামলায় তাঁদের জেলে আটকে রাখা হয়েছে। প্রতিদিন বলা হচ্ছে, তৃণমূল করলে এখনই ছাড়া পেয়ে যাবে। গরিব পরিবারের ছেলে কুদ্দুস আলি ভোটে জিতে পঞ্চায়েত সমিতির চেয়ারম্যান হয়েছে, সেটা তৃণমূলের নেতাদের সহ্য হচ্ছে না।”
প্রসঙ্গত, গত ৮ সেপ্টেম্বর রানিনগর থানায় ও তৃণমূলের ব্লকের দলীয় কার্যালয়ে ভাঙচুরের ঘটনায় পুলিশ কুদ্দুস আলি-সহ ৩৬ জনকে গ্রেপ্তার করে। পরের দিন তাঁদের লালবাগ আদালতে পাঠানো হয়েছিল। পরে আরও কয়েকজনকে ধরে জেলে পাঠিয়েছে। যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য, কংগ্রেসের রানিনগর ২ নম্বর ব্লকের নির্বাচন কমিটির চেয়ারম্যান জাহাঙ্গির ফকির। এদিন অধীর চৌধুরী তাঁর সঙ্গেও দেখা করেন। হঠাৎ করেই স্থায়ী সমিতির নির্বাচন স্থগিত ঘোষনায় রানিনগরের বিধায়ক তথা তৃণমূল নেতা সৌমিক হোসেন বলেন, “আদালত যেটা ভালো বুঝছে, সেটা করছে। আমাদের কোনও সমস্যা নেই।”