গোবিন্দ রায়: “বেআইনিভাবে চাকরি পেয়েছেন জানলে চাকরি বাতিল করবে আদালত”, নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ফের মন্তব্য বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের। বললেন, “অভিযোগ প্রমাণিতত হলে ৩০ হাজার চাকরি প্রশ্নের মুখে পড়বে।” পাশাপাশি পর্ষদকে ১৩৯ জনের নম্বর মিলিয়ে দেখার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।
মঙ্গলবার যে শুনানি চলছিল সেটা ২০১৪ সালের টেট সংক্রান্ত। নিয়োগ হয় ২০১৬ সালে। অভিযোগ, ৮২৪ প্যানেলভুক্তের নাম মামলাকারীর চেয়ে কম। এমনকী ভাইভা বা বোর্ডের অ্যাপ্টিটিউড টেস্ট ছাড়াই মামলাকারীর চাকরি প্রাপকদের থেকে বেশি নম্বর পেয়েছেন বলেও দাবি করা হয়। ৩২ হাজার অপ্রশিক্ষিত চাকরি পেয়েছেন বলে অভিযোগ ওঠে। এ বিষয়ে প্রধান বিচারপতির এজলাসে জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়। সেখানে প্যানেল প্রকাশের নির্দেশ দেওয়া হয়। যদিও প্যানেল প্রকাশিত হয়নি।
[আরও পড়ুন: হাঁসখালি গণধর্ষণ ও খুন: দীর্ঘ আইনি লড়াইয়ের পর ৫ লক্ষ টাকা আর্থিক সাহায্য পেল মৃতার পরিবার]
এরপর মামলাকারীই ১৩৯ প্রার্থী একটি তালিকা প্রস্তুত করেন। জানা গিয়েছে, তাঁদের নম্বর প্যানেলভুক্তদের থেকে বেশি। এর ভিত্তিতেই আদালতের তরফে বোর্ডকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, মামলাকারীদের তালিকা তাঁদের সঙ্গে মিলছে কিনা তা দেখার। ১০ জানুয়ারি মামলার শুনানি। মূলত উওর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা, উ দিনাজপুর নিয়ে অভিযোগ। এই মামলার শুনানিতেই এদিন অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় বলেছেন, বেআইনিভাবে চাকরি হয়েছে তা প্রমাণিত হলে চাকরি বতিল করবে আদালত। বিচারপতির মন্তব্যে স্বাভাবিকভাবেই চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।