শুভঙ্কর বসু: এসএসসি গ্রুপ ডি (SSC Group D) নিয়োগ মামলায় কমিশনকে আরও ৫৪২ জনের বেতন বন্ধের নির্দেশ দিল কলকাতা হাই কোর্ট। বৃহস্পতিবার মামলার শুনানিতে এই নির্দেশ দেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। এর আগে ‘ভুয়ো’ নিয়োগের অভিযোগে ২৫ জনের বেতন বন্ধ করে দিয়েছিল আদালত। এদিন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় জানান, ২০১৯ সালের ৪ মে এসএসসি গ্রুপ ডি’র প্যানেল বাতিল হয়। তারপর এই ৫৪২ জন চাকরিতে নিযুক্ত হয়েছিলেন কিনা, তা খতিয়ে দেখতে হবে। ‘ভুয়ো’ প্রমাণিত হলে আগের ২৫ জনের মতো ৫৪২ জনেরও বেতন বন্ধ থাকবে। তবে নিয়োগ অবৈধ প্রমাণিত না হলে মিলবে বেতন।
২০১৬ সালে গ্রুপ ডি কর্মী হিসাবে প্রায় ১৩ হাজার নিয়োগের সুপারিশ করে রাজ্য। সেই মতো পর্যায়ক্রমে পরীক্ষা ও ইন্টারভিউ নেয় সেন্ট্রাল স্কুল সার্ভিস কমিশন (Central School Service Commission)। তারপর প্যানেল তৈরি করে। ২০১৯ সালে ওই প্যানেলের মেয়াদ শেষ হয়।
[আরও পড়ুন: ‘অন্যের রান্নাঘরে যৌন মিলন করেছিলাম’, নুসরতের শোয়ে গোপন কথা ফাঁস ঋতাভরীর]
অভিযোগ, প্যানেলের মেয়াদ শেষ হওয়ার পরও নিয়মবহির্ভূতভাবে প্রচুর নিয়োগ করেছে কমিশন। ২৫ জনের নিয়োগের সুপারিশ সংক্রান্ত তথ্য তুলে ধরে মামলা করা হয় হাই কোর্টে। পরে দেখা যায় ২৫ জন নয়, প্রায় ৫০০ জনের নিয়োগে গরমিল রয়েছে। নিয়োগে দুর্নীতি মামলায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেয় কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়।
কলকাতা হাই কোর্টের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চে যায় রাজ্য সরকার। বুধবারই এসএসসি নিয়োগ মামলায় সিবিআই তদন্তে অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ দেয় কলকাতা হাই কোর্টের (Calcutta High Court) ডিভিশন বেঞ্চ। তিন সপ্তাহের জন্য এই স্থগিতাদেশ বহাল থাকবে। অর্থাৎ এসএসসি গ্রুপ ডি কর্মী নিয়োগে বেনিয়ম মামলায় এখনই তদন্ত শুরু করতে পারবে না কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা।