শুভঙ্কর বসু: বড়দিন, নববর্ষ পালনেও করোনা কাঁটা। বছর শেষের উৎসবেও জমায়েত করা যাবে না রাস্তায়। মঙ্গলবার ফের সে কথা মনে করিয়ে দিল কলকাতা হাই কোর্ট (Calcutta High Court)। আদালত জানিয়ে দিল, ২৫ ডিসেম্বর কিংবা ১ জানুয়ারি পার্ক স্ট্রিট চত্বর-সহ রাজ্যের বিভিন্ন এলাকায় যাতে আমজনতা ভিড় জমাতে না পারে তার দিকে নজর রাখতে হবে প্রশাসনকেই।
রাজ্যের করোনা পরিস্থিতি কিছুটা সামাল দেওয়া গেলেও বিপদ একেবারে কাটেনি। এর মধ্যেই হয়েছে দুর্গাপুজো, কালীপুজো, ছটের মতো একাধিক উৎসব। হাই কোর্টের স্পষ্ট নির্দেশ ছিল, উৎসবের মরশুমে রাস্তায় ভিড় জমানো যাবে না। পুজোর মণ্ডপে ভিড় না হলেও রাস্তায় জমায়েত করেছিলেন বহু মানুষ। এদিন আদালতে পুজোর পরিস্থিতির কথা তুলে ধরেন মামলাকারী। সেই প্রেক্ষিতেই হাই কোর্ট জানিয়ে দেয়, পুজোয় কার্যকর বিধিনিষেধই বড়দিন এবং নববর্ষে বহাল থাকবে।
[আরও পড়ুন: অনিশ্চয়তার মুখে কলকাতা-হাওড়া পুরভোট, এখনই বিজ্ঞপ্তি নয়, হাই কোর্টে জানাল কমিশন]
আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী, ২৫ ডিসেম্বর (Christmas) এবং ১ জানুয়ারিতে (New Year Eve) রাস্তায় ভিড় করা যাবে না। উৎসাহী জনতা যাতে ভিড় জমাতে না পারে তার দিকে কড়া নজর রাখতে হবে প্রশাসনকেই। প্রসঙ্গত, আগেই দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের তরফে জানানো হয়েছিল, বড়দিন এবং বর্ষবরণের রাতে ১১ টা ৫৫ মিনিট থেকে ১২টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত বাজি পোড়ানো যাবে। পরে হাই কোর্টও একই রায় দেয়। সবমিলিয়ে বছর শেষে হুল্লোড়েও বাদ সাধথে চলেছে সেই করোনাই। তবে এই দুই উৎসবের দিন রাত্রিকালীন কারফিউ জারি থাকবে কি না, চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে রাজ্য সরকার।
প্রসঙ্গত. শর্তসাপেক্ষে বাজি (Firecracker) ফাটানোর অনুমতি দিয়েছিল পশ্চিমবঙ্গ দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ। তবে জনস্বার্থ মামলার পরিপ্রেক্ষিতে গত ২৯ অক্টোবর কলকাতা হাই কোর্ট (Calcutta High Court) উৎসবের মরশুমে বাজি নিষিদ্ধ ঘোষণা করে। হাই কোর্টের তরফে জানানো হয়, কালীপুজো, দীপাবলিতে বাজি ফাটানো যাবে না। এমনকী জগদ্ধাত্রী পুজো, বড়দিন এবং বর্ষবরণের রাতেও বাজি ফাটানো যাবে না বলেই জানিয়ে দেয় হাই কোর্ট। বাজি ফাটালে করোনা রোগী এবং করোনাজয়ীদের শ্বাসকষ্ট হতে পারে, সেই যুক্তি দেখিয়ে কলকাতা হাই কোর্ট বাজি নিষিদ্ধ করে। জীবনের থেকে ব্যবসায়িক স্বার্থ বড় নয় বলেই জানান বিচারপতিরা।